চিকিৎসায় বিলম্বে সাপেকাটা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

0
82
প্রতিকী ছবি

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার গ্রামে মাঠে গরুর খাবারের ঘাস কাটার সময় বিষধর সাপের কামড়ে আহত কৃষক মারা গেছেন। পরিবারের অভিযোগ চিকিৎসায় বিলম্বের কারণে তাদের রোগী মারা গেছে।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের উত্তর শ্যামপুরের মাঠে ঘাস কাটার সময় কৃষক দুলাল চন্দ্র বিশ্বাস (৫৫) এর পায়ে সাপে কামড়দেয়। ঘাতক গোখড়া সাপটিকে তিনি চিনে ফেলেন এবং অন্য কৃষকদের জানান। স্থানীয়রা আহত কৃষকে উদ্ধার করে প্রথমে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখনে পৌছানোর আগেই সাপের কামড়ে আহত কৃষকের মৃত্যু হয়।

নিহত কৃষক ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মৃত বাঞ্চারাম বিশ্বাসের ছেলে। দত্তক পুত্রসহ দুই পুত্র ও এক কন্যার পিতা ছিলেন।

জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বর মাহাতাব উদ্দিন ওই কৃষকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে জানান, সাপের কামড়ে আহত কৃষক দুলালকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপেড় কামড়ের প্রতিশেধক “এন্টিভেনাম” থাকার পরেও রোগীটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপালে রেফার্ড করা হয়। চিকিৎসায় বিলম্বের কারনে কৃষকের মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন।

নিহত কৃষকের দত্তকপুত্র কাব্য বিশ্বাস দাবি করেন, সকালে সাপে কামড়ানোর সাথে সাথে তার বাবাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। কিন্তু ওষুধ থাকার পরেও ডাক্তার তার বাবাকে রেফার্ড করে। এখানে চিকিৎসা হলে তার বাবার মৃত্যু হত না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মাহামুদুল হাসান জানান, তাদের স্টকে এন্টিভেনাম আছে। রোগীর অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে রেফার্ড করা হয়। এ ছাড়া টেকনিশিান ও লজিষ্টিক সাপোর্ট না থাকায় চিকিৎসা ব্যহত হচ্ছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান সোহেল জানান, জরুরী বিভাগে আনার আগেই রোগীর মৃত্যু হয়েছিল বলে তিনি শুনেছেন।

তিনি অরও জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপেকাটা রোগীর চিকিৎসা হয়। এখানে ডাক্তার শাহিনা নামের একজন বিশেষ প্রশিক্ষন প্রাপ্ত চিকিৎসক রয়েছেন। অনেক সময় রোগীর লোকদের ম্যানেজ করতে নানা পদক্ষেক নেওয়া হয়।