ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের শৈলকুপ মোস্তাক শিকাদার নামে এক সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় ঢুকে হামলা চালিয়েছে দলটির কতিপয় নেতা কর্মী।
পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, রবিবার দুপুরে একটি মারামারি মামলার আসামী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক শিকাদারকে পুলিশ গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। এর কিছুক্ষন পরই মোস্তাক শিকদারের কয়েক’শ সমর্থক তাকে ছাড়িয়ে নিতে থানায় হামলা চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে বাধ্য হয়ে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে গুলি চালায়। এ সময় হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের তুমুল সংঘর্ষ হয়। ১০ মিনিটের সংঘর্ষে পুলিশ কনস্টেবল সোহান হোসেন, আব্দুস সালাম, ইকবাল হোসেন ও তরিকুল ইসলাম গুরুতর আহত হন। আহত পুলিশ সদস্যদের শৈলকুপা ও ঝিনাইদহ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ হামলা পাল্টা হামলায় আহত হয়েছেন আওয়ামী লীগ কর্মীদের মধ্যে হাসানুজ্জামান, সাত্তার শিকদার, সাইফুদ্দীন, সোনা মিয়া, জালাল উদ্দীন, আব্দুল ওহাব, ইমরান, ফারুক হোসেন, তুহিন, নাফিজ, সালামত, ইমন, এস এম রিয়াজুল, মুইম, জান্নাত হোসেন, আসাদুজ্জামান, ইমন শিকদার, ফিরোজ শিকদার, আলী আকবর, বায়োজিদ হোসেন. আজগার মন্ডল ও হারুন শিকদার সহ ২০ জন।
শৈলকুপা উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি আব্দুর রহমান রিংকু অভিযোগ করেন, পুলিশ তাদের উপর বেআইনী ও অন্যায়ভাবে হামলা করেছে। পুলিশের গুলিতে ৩০/৩৫ জন আহত হওয়ার দাবীও করেন তিনি।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) ইমরান জাকারিয়া জানান, এজাহার নামীয় আসামী মোস্তাক শিকদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এর পর পরই আসামীর পক্ষে কয়ে’শ উৎশৃংখল জনতা তাকে ছাড়িয়ে নিতে জোটবদ্ধ ভাবে থানায় হামলা চালায়। এ সময় তারা থানার প্রধান ফটক খুলে ভিতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের বাঁধা দিলে বৃষ্টির মতো ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশ নিজেদের জানমাল ও সরকারী সম্পদ রক্ষায় বাধ্য হয়ে সটগানের গুলি ছোড়ে। তবে পুলিশ কত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে তা তাৎক্ষনিকভাবে তিনি জানাতে পারেননি।