স্টাফ রিপোর্টার
কোরবানির গরু বিক্রি করে ফেরার পথে বাসে মধ্যে অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পরে সজ্ঞা হারিয়ে ফেলা চার গরু ব্যবসায়ীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের থেকে প্রাায় ৮ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
অজ্ঞান পাটির খপ্পরে পরে অসুস্থ হয়ে পরা ব্যবসায়ীরা হলেন- ইউসুপ (৫০), আলাল (৩৭), জালাল (২২) ও জিন্নাহ (৩২)। তাদের সবার বাড়ি খোকসার ওসমানপুর ইউনিয়নের কোমভোগ, আজইল ও রায়পুরে।
রবিবার রাতে পাশাপাশি গ্রামের চার ব্যবসায়ী গরু বিক্রি শেষে নারায়নগঞ্জ থেকে যাত্রীবাহী বাসে বাড়ি ফিরছিলেন। পথমধ্যে তারা শশা কিনে খেয়ে ঘুমে আচ্ছন্ন হয়ে পরেন। পরে বাসটির ড্রাইভার মুঠোফোনের মাধ্যমে অসুস্থ যাত্রীদের বাড়িতে যোগাযোগ করেন। রাত ১টার পরে অসুস্থ ব্যবসায়ীদের বাস থেকে উদ্ধার করে খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সোমবার সকালে এ রিপোট লেখা পর্যন্ত অসুস্থ্যদের জ্ঞান ফেরেনি।
হাসপাতালের বিছানায় আলাল এখনো ভুল বকছেন। পরিবারের লোকেরা তাকে ঘিরে বসে আছেন। নিজের পোষা ও খরিদ করা ৬টি গরু নিয়ে হাটে গিয়ে ছিলেন। তিনটি গরু বিক্রির টাকা আগেই বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। বাঁকী গরু বিক্রির সাড়ে চার লাখ নিয়ে ফিরছিলেন। সে জানায়, জিন্নাহর কেনা শশা খেয়ে তার এ অবস্থা।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন জালালের ভাই জিল্লুর রহমান জানান, রবিবার রাত ৮টার পরেও মুঠোফোনে যোগাযোগ ছিল। তখন সে (জালাল) জানিয়েছিল তার ঘুম পাচ্ছে। এরপর আর যোগাযোগ করতে পারেননি। রাতে বাসের ড্রাইভার মুঠোফোনে তাদের বাড়িতে খবর দেন। এখনো তার ভাইয়ের জ্ঞান ফেরেনি। জালালের কাছে দুটি গরু বিক্রির প্রাড়ে চার লাখ টাকা ছিল।
ব্যবসায়ী শরিফুল ইসলাম জানান, রাত ৯টা পর্যন্ত ইউসুপের সাথে ফোনে তাদের যোগাযোগ ছিল। এর পর তার কেউ আর ফোন ধরেনি। এক পর্যায়ে রাত ১১ টার দিকে বাসের ড্রাইভার ইউসুপের ফোন রিসিভ করে তাদের বিষয়টি জানান। পরে গভীর রাতে খোকসা বাস স্ট্যান্ড বাসটি পৌছারে চার ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ বিষয়ে তারা থানায় সাধারণ ডাইরি করতে যাবেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত উপসহকারী মেডিকেল অফিসার বিপ্লব সরকার জানান, রোগীদের অবস্থা মোটামুটি ভালো আছে। তবে জ্ঞান ফিরতে সময় লাগবে।