খোকসায় রহস্যজনক এজাহার ঘিরে নিরব চাঁদাবাজি

0
182

স্টাফ রিপোর্টার

একটি রহস্যজনক এজাহারের কপি এখন সবার মুঠো ফোনে ঘুড়ছে। এই এজাহার কেন্দ্র করে একটি চক্র নিরব চাঁদাবাজি করছে। এজাহার নিয়ে চাঁবাজির সাথে জড়িতদের আইনে সোপর্দ করতে স্থানীয় বিএনপি’র নেতা তার ব্যক্তিগত ফেজবুকে ষ্ট্যাটাস দিয়ে শতর্ক করেছেন।

কুষ্টিয়ার খোকসায় একটি চক্র সম্প্রতি বিভিন্ন ব্যক্তির হোয়াটর্স আ্যাপে রহস্যজনক একটি এজাহারের কপিটি ছড়িয়ে দেয়। কথিত এজাহারটির কুষ্টিয়া সদর থানায় দায়ের করা হয়েছে বলে চক্রটি প্রচার চালাতে থাকে। ৫২ জনের নামের এই এজাহারে মুক্তিযোদ্ধা, হিন্দু ব্যবসায়ী, বিএনপি পরিবারের সদস্য, চাকুরিজীবীসহ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িতদের নাম লেখা হয়েছে।

ভুক্তভোগী একাধিক ব্যবসায়ী ও চাকুরিজীবীরা জানান, গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর পুলিশের অনুপস্থিতে বিএনপির ব্যানার ব্যবহার করে এক শ্রেণির সুবিধা ভোগীরা হামলা মামলার ভয় দেখিয়ে নিরবে চাঁদাবাজি করে চলেছে। গত বৃহস্পতিবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে এজাহার আতঙ্ক। দিনের আলোয় ভদ্রবেশে মুঠো ফোনে কাছে ডেকে এজারের নাম দেখিয়ে সর্বনিন্ম ৫ হাজার টাকা থেকে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করছে। অনেকেই নিজের নাম এজাহারে দেখে ভয়ে দাবিকৃত চাঁদা পরিশোধ করেছেন। চাঁদা না দিলে দেখানো হচ্ছে ভয়ভীতি।

খোকসা বাজারের ব্যবসায়ী গোলাম ছরোয়ারের ছেলে বর্ষন (২৯)। রহস্যজনক এজাহারের তার নাম রয়েছে ১৯ নম্বর ক্রমিকে। তার কাছে স্থানীয় বিএনপির এক প্রভাবশালীর নেতার নিকট আত্মীয় এসেছিলেন। এজাহার থেকে নাম বাদ দেওয়ার জন্য ৫ হাজার টাকাও চেয়েছেন। কিন্তু নিজে বিএনপি পরিবারের ছেলে হওয়ায় তিনি দলের স্থানীয় নেতাদের বিষয়টি জানিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন।

আরও পড়ুন – সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের পৈতৃক ভিটা দখল মুক্ত হলো

উপজেলা শিমুলিয়া ইউনিয়নের নগেন্দ্র নাথ বিশ্বাসের ছেলে মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ বিশ্বাস। তাকে এই এজাহারে ২৬ নম্বরের আসামী করা হয়েছে।

এজাহারটির সত্যতা যচাই করতে খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত আননুর যায়েদের সহযোগীতা নেওয়া হয়। তিনি সাফ জানান, মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণ থাকতে হয়। ঘটনায় কার কি ভুমিকা ছিল তা থাকতে হয়। কিন্তু কথিত এজাহারে সেসবের অস্তিত নাই। এটা নিছক হয়রানি বা অসৎ উদ্যেশ্যে করা হয়েছে বলে মনে করেন এই পুলিশ কর্মকর্তা। তবে তিনি নিজেও চক্রটির সন্ধ্যানের চেষ্টা করবেন বলে জানান।

খোকসা পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহাম্মেদ রাজু তার ফেজবুকে এই এজাহারটিকে কথিত আক্ষাদিয়ে জনসাধারণকে শতর্ক করেছেন। একই সাথে চাঁদার ধান্দা করলে তাকে আইনে সোপর্দ করতে অনুরোধ করেছেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলে জানিয়েছেন।