কুমারখালীতে শৈত্যপ্রবাহে প্রভাবে বেড়েছে শীতের প্রকোপ

0
53

কুমারখালী প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীর উপর দিয়েও ঘটে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহের প্রভাব বিদ্যমান রয়েছে। দিনের অধিকাংশ সময়ু কুয়াশাচ্ছন্ন থাকছে, সেই সাথে বয়ে চলেছে হিমেল হাওয়া। তাই কনকনে শীতে প্রাণীকুলে জুবুথুবু অবস্থা তৈরি হয়েছে। কাজে বেড় হতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ।

কুমারখালী কৃষি আবহাওয়া অধিদপ্তরের ইনচার্জ মামুনুর রশিদ জানান, গত শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেদিন মৃদু শৈতপ্রবাহের সৃষ্টি হয়েছিলো। শনিবার একই সময়ে তাপমাত্রা ছিল ১১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর প্রভাবেই কুমারখালীতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। আর শীত নিবারণে নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামের গরম কাপড়ের দোকানে ভীড় করছে। শীতে জুবুথুবু অবস্থায় দিনাতিপাত করছে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা। সকাল-সন্ধায় নিম্ন আয়ের মানুষদের খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করতে দেখাগেছে। শীতের প্রকোপে গবাদিপশুর গায়ে চট ও ছেঁড়া কাপড় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে দুই/একটি সেবা প্রতিষ্ঠান শীতার্তদের পাশে দাঁড়ালেও মিলছেনা সরকারী সাহায্য।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রামাঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষ শীতে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। বিশেষ করে পদ্মা ও গড়াই নদীর চরাঞ্চলের মানুষ বেশিভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। হিমেল বাতাসে মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপনে বিপর্যস্ততা নেমে এসেছে।

আরও পড়ুন – ‘সারের সংকট নেই, পরিবহনের কারণে পৌঁছাতে ধীরগতি’ – যুগ্ম সচিব

শনিবার দুপুরে কুমারখালীতে সামান্য সময় হালকা রোদের দেখা মেলে। বিকালের আগেই আবার কুয়াশার আড়ালে চলে যায় সূর্য। সূর্যাস্তের আগেই আবার কনকনে শীত নেমে আসে।

আরও পড়ুন – কুষ্টিয়ায় জামায়াতে ইসলামীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সীমিত সংখ্যক শীতবস্ত্র পাওয়া গেছে। আবার আসলে বেশি সংখ্যক মানুষকে দেওয়া যাবে।