কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ কাপড়ের হাটে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে মানববন্ধন করেছেন ব্যাবসায়ীরা। দোকানপাঠ বন্ধ রেখে বুধবার সকালে এ মানববন্ধনে অংশ নেন কয়েকশ ব্যবসায়ী।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা জুমারত হোসেন বাজারের ইজারা পেয়েই বেপরোয়াভাবে খাজনা আদায়ের চেষ্টা করছেন। তিনি হাটের নির্দিষ্ট সীমানার বাইরে গিয়ে ব্যক্তি মালিকানাধীন দোকান থেকেও খাজনা আদায় করছেন, যা রীতিমতো চাঁদাবাজি।
পোড়াদহ পুরাতন বাজার বনিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসিম মুন্না বলেন, কাপড়ের হাটের একটি নির্দিষ্ট চৌহদ্দি আছে। ওইটা সরকারি জমি। ওখান থেকে তারা যা পারে খাজনা আদায় করুক। কিন্তু বর্তমান ইজারাদার হাট থেকে ৭-৮শ গজ দূরে সিএনজি স্টেশন কিংবা রেলস্টেশনে গিয়েও খাজনা আদায় করছেন। এসব ব্যবসায়ীরা তাকে খাজনা দিতে বাধ্য নন।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, হাটের ইজারাদাররা আগে কখনোই তাদের কাছে এভাবে খাজনা দাবি করেননি। এবার পহেলা বৈশাখ থেকে হাটের নতুন ইজারাদার জামায়াত নেতা জুমারত হোসেন। তিনি এসেই নতুন নিয়ম দেখিয়ে খাজনার পরিধি ব্যাপকভাবে বাড়িয়েছেন।
হাটের বাইরেও পোড়াদহ বাজারে অন্তত ৩-৪শ দোকান রয়েছে, যা ব্যক্তি মালিকানা জমিতে স্থাপিত। সেসব জমিতে কোনোভাবেই চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান ব্যবসায়ীরা। সেই সঙ্গে জেলা প্রশাসককে লিখিতভাবে অভিযোগ জানানো হবে বলে জানান সাধারণ সম্পাদক নাসিম।
আরও পড়ুন – খোকসায় পৃথক সন্ত্রাসী হামলায় দুইজন গুলিবিদ্ধ
হাটের নতুন ইজারাদার ও জামায়াতে ইসলামীর কুষ্টিয়া শাখার সদস্য জুমারত হোসেন বলেন, বনিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে এ বিষয়ে মিটিংয়ে করে সমস্যা সমাধান করা হবে।
আরও পড়ুন – ভারত থেকে যেসব পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা
মিরপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ইজারাদার ৬৬ লাখ টাকা দিয়ে হাট ডেকেছেন। তার স্বার্থও আমাকে দেখতে হবে। তিনি হাট থেকে ৫০০ মিটার দূর পর্যন্ত খাজনা আদায় করতে পারবেন। তবে ব্যক্তি জমিতেও খাজনা আদায় করা যায় কিনা এমন প্রশ্নের কোন জবাব তিনি দেননি।