কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর শিলাইদহের কুঠিবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে জাতীয়ভাবে আয়োজিত অনুষ্ঠান মালা আগামীকাল শনিবার শেষ হচ্ছে।
সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে শুরু হওয়া এ আয়োজন ছিল তিন দিনের। বৃহস্পতিবার ২৫ বৈশাখ নৃত্য, রবীন্দ্র সংগীত, আলোচনা সভা, মঞ্চনাটক ও গ্রামীণ মেলা ছিল এ আয়োজনে।
জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগীতায় শুক্রবার ছিল বর্ণিল এ আয়োজনের দ্বিতীয় দিন। এ দিন আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার।
জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অন্ষ্ঠুানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান, কুষ্টিয়া ৪ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী, কুষ্টিয়া ৩ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর। ‘রবীন্দ্রনাথ ও বাংলাদেশ ‘ শীর্ষক আলোচনা করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশিদুজ্জামান।
গত বৃহস্পতিবার ভার্চুয়ালে এ অন্ষ্ঠুানমালার উদ্বোধন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির নৃত্যশিল্পী জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, এর আগেও এখানে এসেছি। কবিগুরর আকাশ ভরা তাঁরা গানের সঙ্গে নৃত্য করেছি। খুবই ভাল লাগছে।
কুমারখালী শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলম টমে বলেন, জন্মদিনের মত কবির মৃত্যুদিবসটিও জাতীয়ভাবে পালন করা উচিৎ। এছাড়াও কুঠিবাড়িতে আগত দর্শনার্থীদের জন্য থিয়েটার, গবেষণাগার নির্মাণের দাবি তাঁর।
শিলাইদহের রবীন্দ্র কুঠিবাড়ির কাস্টোডিয়ান মো. আল আমিন বলেন, রবীন্দ্র সংগীত, কবিতা আবৃত্তি, আলোচনা সভা, মঞ্চ নাটক ও গ্রামীণ মেলার মধ্যদিয়ে শনিবার দিনগত মধ্যরাতে শেষ হবে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৪ তম জন্মজয়ন্তীর অনুষ্ঠান মালা।
আরও পড়ুন – চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বেড়ে ৪১ ডিগ্র
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে জন্মজয়ন্তী উদযাপনের জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন – খোকসায় কবিগুরুর ১৬৪ তম জন্ম জয়ন্তী পালিত
বাংলা ১২৬৮ সনের ২৫ বৈশাখ কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুরবাড়িতে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর দাদা প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮০৭ সালে এই অঞ্চলে জমিদারি পান। ১৮৯১ সালে পিতার আদেশে জমিদারি দেখাশোনর কাজে শিলাইদহে আসেন। কবিগুরু ১৯০১ সাল পর্যন্ত শিলাইদহে জমিদারি পরিচালনা করেন।