কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বাসের মধ্যে পাশের সিটে বসে থাকা যাত্রীবেশী প্রতারকের দেয়া পানি খেয়ে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে ২৫০ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৯ মে) সকালের দিকে রূপসা গড়াই বাসযোগে যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় আসার সময় বাসের মধ্যে পাশের সিটে বসা যাত্রীবেশী এক প্রতারক তাকে পানি খেতে দেয়। তার দেয়া পানি খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেিল তার মৃৃত্যু হয়।
নিহত আবুল কালাম (৬০) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রহিম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যশোরে বসবাস করতেন।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যশোর শহরে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুরে। সোমবার সকালের দিকে রূপসা গড়াই বাসে করে যশোর থেকে কুষ্টিয়া আসতেছিলেন। এসময় বাসের মধ্যে একজন প্রতারক যাত্রী সেজে আবুল কালামের পাশের সিটে বসেন। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে আবুল কালামকে পানি খেতে দেয় প্রতারক। সরল মনে প্রতারকের দোয়া পানি খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।
তারা আরও জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ও তার পরিবার ও বাসের স্টাফদের বিষয়টি জানায়। তবে এরআগেই ওই প্রতারক বাস থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাস থেকে উদ্ধার করে আবুল কালাম আজাদকে সোমবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালের দিকে তার মৃত্যু হয়।
আবুল কালাম আজাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, যাত্রী সেজে আবুল কালামের পাসের সিটে বসে এক প্রতারক। পরে তাকে পানি খেতে দেয়। প্রতারক চক্রের বা অজ্ঞান পার্টির সদস্যের দেয়া পানি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় আবুল কালাম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।
আরও পড়ুন – ঝিনাইদহে আম জনতার দলের পরিচিতি সভা
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, অজ্ঞান পার্টি বা প্রতারক চক্রের সদস্য যাত্রী সেজে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে। এসময় আবুল কালামের পাশের সিটে বসে এবং তাকে পানি খেতে দেয়। এতে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রতারক শৈলকূপা বাসস্ট্যান্ডে নেমে যায়। অসুস্থ হয়ে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।