কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে কথা-কাটাকাটির জের ধরে পিংকী দাস নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী।
সোমবার বিকালে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান এই গৃহবধূ।
হাসপাতালের বারান্দায় আহাজারি করছিলেন সন্তান হারানো মা লিপি দাস। তিনি জানান, কয়েকদিন ধরে স্বামীকে ছায়া-বøাউজ কিনে দেওয়ার কথা বলছিলেন পিংকী। স্বামীর সময় না হওয়ায় গত বৃহস্পতিবার শিশু সন্তানকে চিকিৎসক দেখিয়ে ফেরার পথে ওইসব কিনে আনেন পিংকী। এই নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে তার শ্বশুর ভৌগি দাস, কাকা শ্বশুর, শাশুড়ী ও কাকি শাশুড়ী মিলে পিংকীকে বেদম মারধর করেন। এতে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন পিংকী। অসুস্থ অবস্থায় বাবার বাড়িতে চলে আসেন তিনি। পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে পিংকীর মামা শ্বশুর গত রবিবার তাকে হাসপাতালে এনে ভর্তি করেন। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান পিংকী।
জানা যায়, ৫ বছর আগে ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার ত্রিবেণী এলাকার সুমন দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় পিংকীর। সংসারে তাদের তিন বছর ও সাত মাস বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
এসব তথ্য জানিয়ে পিংকীর কাকা সুকুমার দাস বলেন, পিংকীকে শারিরিক নির্যাতন করার সময় জামাই সুমন বাড়িতে ছিল না। কিন্তু পরেও সে তার স্ত্রীর কোনো দেখ-ভাল করেননি। আমরা এই হত্যার বিচার চাই।
আরও পড়ুন – লিচু পাড়তে গিয়ে আহত বৃদ্ধ মারা গেছেন
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাসপাতাল থেকে এ বিষয়ে পুলিশকে কিছু জানানো হয়নি। আর মেয়েটি যেহেতু পাশ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু থানা এলাকায় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন সেকারণে মামলা সেখানেই হবে।