কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার মিরপুরে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্সে থাকা মৃতের স্বজনদের কাছ থেকে প্রায় ৩২ হাজার ৬০০ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুটে নিয়ে গেছে। অ্যাম্বুলেন্সে মরদেহ আছে কিনা নিশ্চিত হতে মুখের কাপড় সরিয়েও দেখে ডাকাত দল।
বৃহস্পতিবার দুপুরে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে মিরপুর উপজেলার ছাতিয়ান ইউনিয়নের দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে ডাকাতির এ ঘটনা ঘটেছে।
মৃতের স্বজনরা জানায়, বুধবার রাত ১০টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পোড়াদহ ইউনিয়নের সৌদিরাজপুর গ্রামের নিয়ামত আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন (৬০) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর সেখান থেকে মরদেহ নিয়ে তার স্বজনরা অ্যাম্বুলেন্স যোগে রাজশাহী থেকে কুষ্টিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাত ২টার দিকে দুর্গাপুর মাঠের মধ্যে পান বরজের কাছে ডাকাত দল অ্যাম্বুলেন্সের গতিরোধ করে।
মৃতের ভাই রকিবুল ইসলাম বলেন, গত রাত ১০টার দিকে আমার বড় বোন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এরপর বড় বোনকে নিয়ে আসার সময় কালিতলার মধ্যে একটা পানের বরজের সামনে বাঁশের কাবাড়ি দিয়ে রাস্তা আটকে ৪-৫ জনের একদল ডাকাত দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে আমাদের কাছ থেকে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট করে। আমার কাছে ২০ হাজার টাকা ছিল, ছোট বোনের কানে স্বর্ণের দুল ছিল, সব নিয়ে গেছে। অন্যদের কাছ থেকেও নগদ টাকা নিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, কতবার মিনতি করেছি ভাই আমার বোন মারা গেছে। আমরা তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নিয়ে আসছি মেডিক্যাল থেকে। আমাদের কাছে কিছু নাই। এসব বলার পরেও তারা জোরপূর্বক ভাবে অস্ত্রের মুখে আমাদের সব কিছু লুটে নিয়ে যায়।
মৃতের ছোট বোন বলেন, ডাকাতদের অনুরোধ করে আমরা বলি ভাই আপনাদেরও মা-বোন আছে। আপনারা দেখেন আমার বোন মারা গেছে। তবুও আমার কান থেকে ডাকাত দল একজোড়া দুল নিয়ে খুলে নেয়। এমনকি ডাকাত দল আমার বোনের মুখ খুলে দেখে যে সত্যিই সে মারা গেছে কিনা।
আরও পড়ুরন – বিভ্রান্তিতে পরীক্ষার্থী অভিভাবক : এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে ভুল নোটিশ
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মমিনুল ইসলাম বলেন, সকালে ঘটনা জানার পরে অভিযুক্তদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।