কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’দলের সংঘর্ষে এক কৃষক নিহত হয়েছে এবং পুলিশসহ আহত হয়েছে অর্ধশতাধিক।
সোমবার বেলা ১১ টার দিকে কুমারখালীর পান্টি ইউনিয়নের সান্দিয়ারা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। দু’গ্রুপকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ছোঁড়ে। রাবার বুলেটের আঘাতে বিল্লাল হোসেন (৪৮) নামের একজন নিহত হয়েছেন। এঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে ৩০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত বিল্লাল হোসেন সান্দিয়ারা গ্রামের মৃত মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন কৃষক ছিলেন। ঘটনার পরে কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এস এম তানভীর আরাফাত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, পান্টি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামিউর রহমান সুমন এবং ডাঁসা গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা দুলাল শেখের শিল্পপতি ছেলে মামুনের মধ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এর জের ধরে সোমবার সকালে সান্দিয়ারা বাজারে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দুই গ্রুপকেই ছত্রভঙ্গ করতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের ছোঁড়া রাবার বুলেটে সুমন গ্রুপের বিল্লাল হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে আহত অবস্থায় তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। একই ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়। আহতদের কয়েক জনকে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও দেখুন করোনায় থেমে গেল গো খামারিদের স্বপ্ন
কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মহাশিউল আরেফিন রনি বলেন, নিহতের দেহে রাবার বুলেটের চিহ্ন রয়েছে।
এ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ৬ জন পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের প্রায় অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ঘটনার পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।