খুন হওয়ার ভয় পাচ্ছেন পূজা ভাট

0
131
Puja-DRO-23-P-6
পূজা ফাইল ছবি।

দ্রোহ বিনোদন ডেস্ক

সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় মহেশ ভাটের কন্যা তথা অভিনেত্রী পূজা ভাট। যেকোনো বিষয় সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে নিজের মতামত স্পষ্ট করে বলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট প্রাইভেট করতে হলো পূজাকে। একটি পোষ্ট করেই তিনি জানান যে ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেল তিনি প্রাইভেট করছেন।

কিন্তু কেন হঠাৎ এই সিদ্ধান্ত? পূজা জানিয়েছেন, বেশ কয়েকদিন ধরে তার কাছে আসছে খুনের হুমকি। তাকে অনেকেই পরামর্শ দিয়েছিলেন ইনস্টাগ্রামের কমেন্ট বিভাগ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য। সুশান্ত সিং রাজপুত এর মুত্যুর পরে বলিউডের তথাকথিত স্টারকিডরা নেটিজেনদের নিশানায় পড়েন। নেপোটিজম নিয়ে বিতর্ক কোথায় নেটিজেনরা রীতিমতো তাদের বয়কট করতে থাকেন। তবে এখানেই শেষ নয়। পূজার বাবা অর্থাৎ মহেশ ভাটের নাম জড়িয়েছে সুশান্তের তদন্তে। ঘটনার মূল অভিযুক্ত রিয়া চক্রবর্তী সঙ্গে যোগাযোগ ছিল মহেশের। আর তাই নেটিজেনদের রোষানলে পড়তে হচ্ছে ভাট পরিবারকে।

সম্প্রতি রিয়া চক্রবর্তীর সঙ্গে হাওয়া হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে আসে। সেই চ্যাট দেখেই বোঝা যায় যে রিয়াকে সুশান্তের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরামর্শ দিয়েছেন মহেশ ভাট। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে দেখা যাচ্ছে যে সুশান্তের বাড়ি থেকে ৮ জুন বেড়িয়ে গিয়ে প্রথমেই মহেশ ভাটের সঙ্গে যোগাযোগ করেন রিয়া।

জানান তিনি সেই সম্পর্কটা থেকে বেড়িয়ে গিয়েছেন এবং অনেকটা শান্তিতে আছেন। মহেশ ভাটও তাকে পাল্টা পরামর্শ দেন যে, রিয়া যেন আর পিছন ফিরে না তাকান। এই হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট সামনে আসতেই রিয়াকে ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। নেট দুনিয়ায় নিন্দা হচ্ছে রিয়া ও মহেশ ভাট দুজনেরই।

বলিউডের একেবারের প্রথম সারির পরিচালক তিনি। প্রচুর হিট ফিল্মও দিয়েছেন। কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে বারবারই পরিচালক মহেশ ভাট নানা বিতর্কে জড়িয়েছেন। কখনও তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে বিতর্ক, কখনও মেয়ের বয়সী কোনও নায়িকার সঙ্গে প্রেম, এমনকি, নিজের মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও বিতর্কে জড়িয়েছেন তিনি।

ইন্ডিয়া টুডের কাছে সাক্ষাৎকারে রিয়ার আইনজীবী সতীশ বলেছেন, সুশান্তের অনুরোধেই রিয়া ৮ জুন সেই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। কারণ সুশান্ত চেয়ে ছিলেন সেই সময় তার পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে এসে থাকুক। সেই আইনজীবী বলছেন, “সুশান্ত ওর পরিবারকে ফোন করে ডাক ছিলেন। মুম্বাইতে এসে তার সঙ্গে দেখা করতে বলেছিলেন। বহুদিন ধরে ফোনে সুশান্ত কান্নাকাটি করার পর তার দিদি মিতু এসে থাকতে রাজি হয়েছিলেন। অবশেষে ৮ জুন তিনি আসেন। সেই কদিনের জন্য সুশান্ত রিয়াকে তার মা-বাবার সঙ্গে গিয়ে থাকতে অনুরোধ করেছিলেন।”