খোকসায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারীর অভিযোগ

0
211
শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাস- সংগ্রহ

স্টাফ রিপোর্টার

খোকসার ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্রীড়া শিক্ষকের বিরুদ্ধে চা বিক্রেতার দ্বিতীয় স্ত্রীকে রাস্তা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। প্রথম দফায় সালিশে রফা হওয়ার পর এবার থানায় গেলো গৃহবধূ।

জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্রীড়া শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাস কে এক চা বিক্রেতার দ্বিতীয় স্ত্রীসহ গ্রামবাসী আটক করে। এক পর্যায়ে ওই শিক্ষক সহ এক সন্তানের মা কে নিয়ে সালিশ হয়। প্রথম দফায় রফা হয়। পরে বিষয়টি ফাঁস হয়ে গেলে শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাস আত্মগোপন করেন।

বুধবার বিকালে ঈশ্বরদী গ্রামে সরেজমিন গিয়ে ওই গৃহবধূর সাথে কথা বলা হলে তিনি জানান, প্রায় তিন মাস যাবৎ শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাস তাকে নানা ভাবে উত্যক্ত করে আসছেন। মঙ্গলবার সকালে সে (গৃহবধূ) উপজেলার রায় পুর গ্রামে আত্মীয় বাড়ির উদ্যেশ্যে রওনা হয়। খোকসা খেয়া ঘাট পার হওয়ার পর শিক্ষক তাকে মোটরসাইকেলে উঠতে বাধ্য করে। এক পর্যায়ে সে তাকে ওসমানপুর ইউনিয়নের রায়পুরে আত্মীয় বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে পৌচ্ছানোর পর শিক্ষক গৃহবধূকে যৌন হ্যানস্থা করার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে গ্রামবাসী শিক্ষককে আটক করে সালিশ করে।

এ প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে বলতে গৃহবধূ থানায় যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। তবে তিনি দাবি করেন কিছু বুঝে ওঠার আগেই সালিশ হয়েছিল। এখন তিনি অপহরণ মামলা করতে থানায় যাচ্ছেন। চা বিক্রেতার প্রথম স্ত্রী জানান, কিছুসময় আগেই তার স্বামী অপর একটি ভ্যানে থানার উদ্যেশ্যে রওনা দিয়েছেন।

স্কুল শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাসের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর তার গ্রামের বাড়ি দশকাহুনিয়া যাওয়া হয়। সেখানেও তার দেখা মেলেনি। বাড়ির কোন লোক সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেনি। তবে প্রতিবেশী এক মধ্যবয়সী নারী জানান, মঙ্গলবার সকালে প্রবীর বাড়ি থেকে বের হয়, আর ফিরে আসেনি।

ঈশ্বরদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, লোকমুখে শুনেছি। শিক্ষক প্রবীর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে কেউ অভিযোগ করেনি।

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন এ বিষয়ে তিনি কোন অভিযোগ পাননি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেবেন।