শুক্রবার, ২৩ মে, ২০২৫
Home Blog

অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজের লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

জুলাই ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদের (১৭) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যারা।

শেষ পর্যন্ত পরিবারের বাধা ও আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশ সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুরের দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া কবরস্থানে মরেদহ উত্তোলনে গেলে শহীদ পরিবার আপত্তি জানায়। এতে কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশসহ সংশ্লিষ্টরা।

নিহতের বাবা কামাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট বিকালে আনন্দ মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিল আমার ছেলে হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদ। এসময় পুলিশের এলোপাতাড়ি গুলিতে গুরুতর আহত হয়। তার পেটে গুলি লাগে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। ময়না তদন্ত ছাড়াই তার দাফন করা হয়।

তিনি আরও বলেন, আমার ছেলে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে। এটা সবাই জানেন। ঘটনাটি তদন্ত করলে এবং ওইসব এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ ও ভিডিও ফুটেজ পর্যবেক্ষণ করলেই বিষয়টি জানা যাবে। পুলিশের গুলিতে জুবাইয়ের নিহত হয়েছে এটা পরিষ্কার।

আমার ছেলের লাশ উত্তোলন করতে চায় না এবং ময়না তদন্ত করার দরকার নেই বলে মনে করি। এজন্য লাশ উত্তোলন করতে দিইনি। আমার ছেলের হত্যাকান্ডের ঘটনায় যারা জড়িত তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হত্যার ঘটনায় মামলা করা হয়েছে।

জানা গেছে, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জুবায়ের আহমদের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া কবরস্থান যায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু মরদেহ উত্তোলনে শহীদ পরিবার আপত্তি জানায়। এ অবস্থায় মরদেহ উত্তোলন না করেই ফিরে যান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

আরও জানা গেছে, ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট ৫টা ৪৫ মিনিটের দিকে রাজধানীর খিলগাঁও চৌরাস্তায় ছাত্রজনতার বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ করেছিলেন জুবায়ের। এসময় তাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি করে পুলিশ। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন জুবায়ের। তাকে উদ্ধার করে সরকারি মুগদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর জুবায়ের আহমদের বাবা কামাল উদ্দিন বাদী হয়ে খিলগাঁও থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়। তিনি মাদ্রাসা ছাত্র ছিলেন।

নিহত হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদ কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার লাহিনীপাড়া এলাকার কামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি হাফেজ ও মাদরাসা ছাত্র ছিলেন। তার পেট ও শরীরের বিভিন্নস্থানে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আরও পড়ুন – দৌলতপুরে হামলায় দুই এসএসসি শিক্ষার্থী আহত

এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদিত্য পাল বলেন, মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আদালতের নির্দেশে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত জুবায়ের আহমেদের মরদেহ উত্তোলনের জন্য কবরস্থানে এসেছিলাম। নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ায় মরদেহ উত্তোলন করা হয়নি। বিষয়টি আদালতকে জানানো হবে।

দৌলতপুরে হামলায় দুই এসএসসি শিক্ষার্থী আহত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন – হোসেনাবাদ এলাকার মমুনুর রশিদের ছেলে মনোয়ার হোসেন রুদ্র (১৮) ও আতিক হাসানের ছেলে ফাহিম (১৮)। তারা দুজনেই হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের এসএসসি পরীক্ষার্থী।

এ ঘটনায় দুপুরে মনোয়ার হোসেন রুদ্র বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে দৌলতপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে কলেজে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে কয়েকজন বহিরাগত যুবক কলেজ চত্বরে অনধিকার প্রবেশ করে তাদের এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে রুদ্র ও তার বন্ধু ফাহিম মারাত্মকভাবে আহত হন।

আহত ফাহিম জানান, পরিক্ষা শেষ করে বাইরে আসতেই কলেজের গেটে আমাদের উপর হামলা চালায় কয়েকজন বহিরাগত।

এ বিষয়ে কলেজের অধ্যক্ষ কামরুজ্জামান বলেন, “সামান্য একটি বিষয় নিয়ে উত্তেজনা তৈরি হয়েছিল, বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”

আরও পড়ুন – ঝিনাইদহে জব্দকৃত ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাজমুল হুদা বলেন, “প্রতিষ্ঠানটিতে মারামারির খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়। এ বিষয়ে নিয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ঝিনাইদহে জব্দকৃত ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধারকৃত ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি।

বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি সদর দপ্তরে এই মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বিজিবির রিজিওনাল কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হুমায়ন কবীর ও বিশেষ অতিথি হিসেবে কুষ্টিয়া বিজিবির সেক্টর কমান্ডার আহসান হাবিব উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহেশপুর ৫৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে ঝিনাইদাহ চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়ার সরকারি কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নেতৃবৃন্দ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইলেকট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা মূল্যের ১২ ধরনের ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করা হয়।

মাদকদ্রব্য ধ্বংস অনুষ্ঠানে বিজিবি মহেশপুর ৫৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রফিকুল আলম জানান, ধ্বংশ করা মাদকের মধ্যে ২৫ হাজার ৮১৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল, ৩৮ হাজার ৯৮০ বোতল মদ, ১৩০ কেজি গাঁজা, ৬৫ হাজার ১৭৪ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট, ৩৭ কেজি হেরোইন, ৭৯ কেজি কোকেন, ক্রিস্টাল ম্যাথ আইস ৭ কেজি, এলএলডি ২৯ বোতল, ২১ হাজার ৩১৬ পিস ভায়াগ্রা ট্যাবলেট, ট্যাপেন্টাল ট্যাবলেট ৩০ হাজার ৭০ পিস, ভারতীয় ঔষধ ৯ হাজার ৮৪৫ পিস এবং বাংলাদেশী ওষুধ ৯ হাজার ৯৬০ পিস। যার আনুমানিক মূল্য ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ ৮৩ ২০২ টাকা।

আরও পড়ুন – মেলা কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১১

তিনি আরও জানান, ২০২৪ সালের ফেব্রæয়ারি মাস থেকে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এই ১৫ মাসে মহেশপুর ও জীবননগর সীমান্ত থেকে এই বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য উদ্ধার করে বিজিবি।

মেলা কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১১

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু – চম্পাবতী মেলা বসানো নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

মঙ্গলবার ( ২০ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার জগন্নাথপুর ইউনিয়নের হোগলা চাপাইগাছি বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১১ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ সময় মেলায় আগত দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। তবে মেলায় হামলা, ভাঙচুর ও সংঘর্ষ নিয়ে উভয়পক্ষের পাল্টা-পাল্টি বক্তব্য পাওয়া গেছে।

জামায়াতের আহতরা হলেন জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও মহেন্দ্রপুর আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান, জামায়াতের কর্মী কুদ্দুস প্রামাণিক (৭০), শহিদুলের ছেলে তুহিন হোসেন, আক্কাস আলীর ছেলে জিহাদ হোসেন, সুকচাঁদের ছেলে জামাত আলী, জালালের ছেলে ইউনুস আলী। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিএনপির আহতরা হলেন-খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান, বাঁখই মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক টিপু সুলতান, গফুর শেখের ছেলে সুকুর শেখ, আজিজুলের ছেলে শরীফ, আসাকুর রহমান। তারা বিএনপির কর্মী – সমর্থক। তারা কুষ্টিয়া সদর হাসপাতাল ও বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, প্রায় দেড়শ বছর ধরে হোগলা চাপাইগাছি বাজারে গাজীকালু – চম্পাবতী মেলার আয়োজন করে আসছেন স্থানীয়রা। ইতোমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে মেলায় অশ্লীল কর্মকান্ড ও জুয়া খেলার অভিযোগ তুলে মেলা বন্ধের দাবি তোলেন জামায়াত ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। আর প্রশাসনের অনুমতি না মিললেও বিএনপির সমর্থকরা মেলা বসানোর চেষ্টা করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার বিকাল থেকে এলাকায় উভয় দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ টহল শুরু করে। তবুও এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সংঘর্ষের সময় অস্ত্র, হাঁসুয়া, রাম দা, লাঠিসোটাঁ নিয়ে অন্তত ৩০ টি দোকানে হামলা, ভাঙচুর লুটপাট চালানো হয়।

এ সময় হামলা ও লুটপাটের অভিযোগ অস্বীকার করে জগন্নাথপুর ইউনিয়ন উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বলেন, মেলায় অশ্লীল কর্মকান্ড ও জুয়ার আসর বসানো হয়। সেজন্য প্রশাসন অনুমতি দেয়নি। তবুও বিএনপি ও মেলা কমিটি মেলার আয়োজন করেছেন। আমরা মেলার বিষয় জানতে গেলে প্রতিপক্ষরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়েছেন। আমিসহ আমাদের অনেকেই আহত হয়েছেন। থানায় মামলা করা হবে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে বিএনপির সমর্থক ও খোকসা সরকারি কলেজের প্রভাষক সরাফাত সুলতান বলেন, জামায়াতের কয়েকশ লোকজন আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়েছে। মেলার দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। বিচারের আশায় থানায় মামলা করব।

প্রত্যক্ষদর্শী ও বাজারের কলা ব্যবসায়ী মফি শেখের ছেলে নাদের শেখ (৬৫) বলেন, শও শও বছর ধরে মেলা হয়ে আসছে। আজ দেখলাম দুইপক্ষের দাবড়া দাবড়ি। জামায়াতের লোক বেশি ছিল। তাদের হাতে দেশীয় অস্ত্র ছিল।

মেলায় হরেক মালের দোকান বসিয়েছেন পাবনার চাটমোহরের দিলবার হোসেনের ছেলে আরজ আলী। তিনি কাঁদতে কাঁদতে বলেন, আসরের পর থেকে জামায়াত শিবিরের লোকজন বার বার উঠে যাওয়ার জন্য হুমকি দেন। পরে সন্ধ্যার একটু আগে কয়েক শত টুপিপড়া লোক রামদা, হাঁসুয়া, লাঠিসোঁটা নিয়ে দোকানে হামলা চালায়। ভয়ে পালিয়ে গিয়েছিলাম। পরে এসে দেখি মালামাল কিছুই নেই। প্রায় দেড় লাখ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর আফজাল হোসাইন বলেন, ইসলাম বিরোধী কর্মকান্ডে জামায়াতের নেতাকর্মী ও স্থানীয়রা প্রতিবাদ করতে গেলে মেলা কমিটির লোকজন হামলা করেছেন। থানায় মামলা করা হবে।

আরও পড়ুন – কুমারখালীতে সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

শতবছর ধরে চলা আসা মেলায় এবার অনুমতি মেলেনি বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ওসি মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, মেলা বসানো নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েক জন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এখন এলাকার পরিবেশ শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কুমারখালীতে সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীতে গড়াই নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ মাসউদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে ৩ টায় কুমারখালী বাসস্টান্ড সংলগ্ন গোলচত্বর এলাকায় মানববন্ধনের আয়োজন করেন সর্বস্তরের জনগণ ও আহত জুলাই যোদ্ধাগণ।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কুমারখালী শাখার আহবায়ক আব্দুর রহমানের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতের নায়েবে আমির আফজাল হুসাইন, কুষ্টিয়া শহর ছাত্র শিবিররে সভাপতি হাফেজ সেলিম রেজা, কুমারখালী প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক সোহাগ মাহমুদ খান, উপজেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহবায়ক শরিফুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা শাখার মুখপাত্র পারভেজ মোশাররফ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নেতা মুশফিকুর রহমান তিহা, নয়ন হোসেন প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ‘২০০৪ সালে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু নির্মাণ করে সওজ। ২০০৫ সাল থেকে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে ইজারাদারের মাধ্যমে টোল আদায় করা হয়। তবে সেতু নির্মাণের পর তিনগুণ টাকা টোল আদায় হয়েছে। তবুও ফ্যাসিবাদীরা টোলের নামে জনগণের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিল। সেজন্য গত বছর ৫ আগষ্ট জ্লুাই বিপ্লবের পর ছাত্রজনতা টোল আদায় বন্ধ করে দেন। সম্প্রতি আবারো টোল আদায়ের পাঁয়তারা করছেন ফ্যাসিবাদী সরকারী কর্মকর্তা। তবে স্থায়ীভাবে টোল বন্ধের দাবি জানান বক্তারা।

সওজ সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর গত বছরের ৭ আগস্ট সকালে টোল আদায় বন্ধের দাবিতে টোলপ্লাজায় আগুন লাগিয়ে দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। সে সময় টোলপ্লাজা ছেড়ে পালিয়ে যান আদায়কারী। ১৩ আগস্ট সওজ কর্তৃপক্ষ টোল আদায় করতে গেলে বিক্ষুব্ধ জনতা বাধা দেয়। এরপরও কয়েক দফা হামলা হয়েছে। নিরাপত্তার অভাবে সেখান থেকে চলে আসেন কর্মকর্তারা। এরপর থেকে টোল আদায় বন্ধ রয়েছে। এতে সরকার প্রতিদিন তিন-চার লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে বলে জানান কুষ্টিয়া সওজ কর্তপক্ষ। সম্প্রতি সেতুর টোল আদায়ের জন্য আবারও দরপত্র আহবান করেছে সওজ কর্তৃপক্ষ।

আরও পড়ুন – যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান চাষে ফলন বেড়েছে

এ বিষয়ে জানতে সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ মনজুরুল করিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান চাষে ফলন বেড়েছে

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের বুঁজরুখ বাঁখই মাঠে প্রথমবারের মতো আধুনিক ও যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান -৯২ জাতের ধান চাষাবাদ করা হয়েছে। সেখানে প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ১৫০ বিঘা জমিতে ১২৮ জন কৃষক সমলয় চাষাবাদ করেছেন। এ পদ্ধতিতে কম খরচে গতবারের তুলনায় এবার বিঘাপ্রতি ফলন বেড়েছে প্রায় আট থেকে দশ মণ। এতে ব্যাপক খুশি তাঁরা। ভবিষ্যতে সমলয় পদ্ধিতে চাষাবাদের স্বপ্ন বুনছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাইসুল ইসলাম বলেন, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে একই মাঠে একই সাথে একই জাতের ফসল চাষাবাদকে সমলয় বলে। এ পদ্ধিতে পোকামাকড়ের আক্রমণ কম হয়। জমির অপচয় রোধ করে অল্প খরচে অধিক ফলন পাওয়া যায়। ২০২৪ অর্থবছরে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বুঁজরুখ বাঁখই মাঠে ১৫০ বিঘা জমিতে ব্রিধান -৯২ জাত চাষ করা হয়েছে। বিঘাপ্রতি ফলন পাওয়া গেছে ২৮-২৯ মণ। যা সনাতন পদ্ধতির তুলনায় আট থেকে দশ মণ বেশি।

দুপুরে বুঁজরুখ বাঁখই মাঠে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, কম্বাইন্ড হারভেস্টর যন্ত্রের সাহায্যে ধান কর্তন করা হচ্ছে। সেখানে রয়েছেন কৃষক, কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তর ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

কৃষক বাবুল হোসেন বলেন, গতবছর সনাতন পদ্ধতিতে ব্রিধান – ২৯ চাষ করে বিঘাপ্রতি ১৮ – ২০ মণ ফলন পেয়েছিলাম। এবারই প্রথম যান্ত্রিক পদ্ধতিতে ব্রিধান -৯২ চাষ করেছি। একই জমিতে বিঘাপ্রতি ফলন হয়েছে ২৭ থেকে ২৯ মণ। এ পদ্ধতিতে অল্প শ্রম ও খরচে অধিক লাভ হওয়ায় আগামীতে সমলয় চাষাবাদ করব।

বুঁজরুখ বাঁখই মাঠে মাহাতাব উদ্দিনের ছেলে মোক্তার হোসেনের প্রায় তিন বিঘা জমি চাষাবাদ আছে। তিনি বলেন, এই কায়দার চাষে চারা কম লেগেছে। পরিশ্রমও কম হয়েছে। তবে ফলন আগের চেয়ে অনেকখানি বেশি হয়েছে। এখন থেকে যন্ত্র দিয়ে চাষ করবেন তিনি।

কৃষক মিঠুন বলেন, মেশিনে চারা লাগানোর কারণে জমি অপচয় হয়নি। গাছ ভাল হয়েছে, ফলনও ভাল হয়েছে। প্রচলিত চাষের চেয়ে যান্ত্রিক চাষ সহজ। কষ্ট এবং খরচ কম। তাঁর ভাষ্য, গেল বছর বীজ, চারা, জমি ভাড়া, পরিচর্যাসহ প্রতিবিঘায় খরচ পড়েছিল প্রায় ১৬ হাজার টাকা। আর ১৯ মণ ধান এবং দুই হাজার বিছালী পেয়েছিলাম। এবার হিসেব করে প্রতি বিঘায় খরচ পড়েছে প্রায় ১০ হাজার টাকা। আর ধান পয়েছি ২৯ মণ।

যন্ত্রের মাধ্যমে চারা উৎপাদন, রোপন এবং ধান কর্তন করায় সময় ও শ্রম কম লাগবে এবং উৎপাদন বাড়বে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া কৃষি সম্প্রাসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সুফি রফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, যান্ত্রিক পদ্ধতিতে চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।

আরও পড়ুন – বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, সমলয়ে চাষাবাদে কম খরচে অধিক লাভ। সেজন্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রণোদনা কর্মসূচি চালু রাখা হবে।

বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় দুই বন্ধু নিহত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার মিরপুরে বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই বন্ধু নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে মিরপুর উপজেলার যোগীপোল এলাকায় কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন কুষ্টিয়া শহরের মঙ্গলবাড়িয়া এলাকার বাবলু বিশ্বাসের ছেলে আহসান হাবিব তুষার (৩০) এবং একই এলাকার ফরিদ উদ্দিনের ছেলে রাব্বি (৩০)। নিহত তুষার ও রাব্বি দুই বন্ধু। এ সময় অপর একটি মোটরসাইকেলকেও ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ভেড়ামারা উপজেলার চরদামুকদিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রশান্ত বিশ্বাস।

নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মোটরসাইকেল যোগে রাব্বি ও তুষার মিরপুর থেকে কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের যোগীপোল এলাকায় বিপরিতগামী একটি বালুবাহী ড্রাম ট্রাক তাদের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দেয়। এতে তারা দুই বন্ধু গুরুতর আহত হন। এসময় অপর আরেকটি মোটরসাইকেলকেও ধাক্কা দেয় ট্রাকটি। এতে গুরুতর আহত হন মোটরসাইকেল আরোহী প্রশান্ত।

স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তুষারকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তুষারের বন্ধু রাব্বিরও মৃত্যু হয়। অপর মোটরসাইকেল আরোহী প্রশান্ত গুরুতর আহত অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের ১০ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক সবুজ হোসেন বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই তুষারের মৃত্যু হয়। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাব্বিরও মৃত্যু হয়। আহত প্রশান্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন – প্রতারকের দেয়া পানি খেয়ে বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

এ বিষয়টি নিশ্চিত করে মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মমিনুল ইসলাম বলেন, বালুবাহী ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় দুইজন নিহত হয়েছে। ট্রাক চালক পালিয়ে গেছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটি মোটরসাইকেল ও ঘাতক ড্রাম ট্রাক উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। ঘাতক ট্রাক চালককে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি।

প্রতারকের দেয়া পানি খেয়ে বিমানবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তার মৃত্যু

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

বাসের মধ্যে পাশের সিটে বসে থাকা যাত্রীবেশী প্রতারকের দেয়া পানি খেয়ে আবুল কালাম নামে একজন নিহত হয়েছেন।

মঙ্গলবার (২০ মে) বিকালে ২৫০ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৯ মে) সকালের দিকে রূপসা গড়াই বাসযোগে যশোর থেকে কুষ্টিয়ায় আসার সময় বাসের মধ্যে পাশের সিটে বসা যাত্রীবেশী এক প্রতারক তাকে পানি খেতে দেয়। তার দেয়া পানি খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেিল তার মৃৃত্যু হয়।

নিহত আবুল কালাম (৬০) কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সুলতানপুর গ্রামের রহিম বিশ্বাসের ছেলে। তিনি বিমানবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত ওয়ারেন্ট অফিসার। তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যশোরে বসবাস করতেন।

পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আবুল কালাম পরিবারের সদস্যদের নিয়ে যশোর শহরে বসবাস করতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুরে। সোমবার সকালের দিকে রূপসা গড়াই বাসে করে যশোর থেকে কুষ্টিয়া আসতেছিলেন। এসময় বাসের মধ্যে একজন প্রতারক যাত্রী সেজে আবুল কালামের পাশের সিটে বসেন। এসময় কথাবার্তার একপর্যায়ে আবুল কালামকে পানি খেতে দেয় প্রতারক। সরল মনে প্রতারকের দোয়া পানি খেয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন।

তারা আরও জানান, বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি ও তার পরিবার ও বাসের স্টাফদের বিষয়টি জানায়। তবে এরআগেই ওই প্রতারক বাস থেকে পালিয়ে যায়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বাস থেকে উদ্ধার করে আবুল কালাম আজাদকে সোমবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হসপিটালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালের দিকে তার মৃত্যু হয়।

আবুল কালাম আজাদের পরিবারের সদস্যরা জানান, যাত্রী সেজে আবুল কালামের পাসের সিটে বসে এক প্রতারক। পরে তাকে পানি খেতে দেয়। প্রতারক চক্রের বা অজ্ঞান পার্টির সদস্যের দেয়া পানি খেয়ে অজ্ঞান হয়ে যায় আবুল কালাম। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা।

আরও পড়ুন – ঝিনাইদহে আম জনতার দলের পরিচিতি সভা

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, অজ্ঞান পার্টি বা প্রতারক চক্রের সদস্য যাত্রী সেজে ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ড থেকে বাসে উঠে। এসময় আবুল কালামের পাশের সিটে বসে এবং তাকে পানি খেতে দেয়। এতে অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে যায়। প্রতারক শৈলকূপা বাসস্ট্যান্ডে নেমে যায়। অসুস্থ হয়ে সোমবার হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার বিকালে তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ঝিনাইদহে আম জনতার দলের পরিচিতি সভা

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহে আম জনতার দলের পরিচিতি সভায় বক্তাগন বলেন, ভারতীয় আধিপত্যবাদ বাংলাদেশে আর চলতে দেওয়া হবে না। যারাই দিল্লীর দাসত্ব করতে চাইবে তাদেরকেই শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে।

সোমবার দুপরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে আমজনতা দলের আহবায়ক কমিটির পরিচিতি সভায় বক্তৃতাদানকালে বিশিষ্টজনেরা এ কথা বলেন।

আমজনতাদলের ঝিনাইদহ জেলার আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে পরামর্শমুলক বক্তব্য রাখেন, ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবের সভাপতি আসিফ ইকবাল কাজল, সাবেক সভাপতি এম রায়হান, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক নিজাম জোয়ার্দার বাবলু, মাহমুদ হাসান টিপু, দলের উপদেষ্টা সাবেক অধ্যক্ষ মো. সায়েদুর রহমান ও জেলা সদস্য সচিব সাইদুর রহমান সৈকত ও মুসকার রুবাইয়া মীরা।

আমজনতা দলের ঝিনাইদহ জেলা আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল নোমান বলেন, ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী যেকোন অবস্থান ও আন্দোলনের সঙ্গে আমজনতা দল একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি ভারতীয় পন্য বর্জনে দলটির অবস্থান আগের মতোই আছে বলে উল্লেখ করেন।

সার্বভৌমত্ব রক্ষা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ ও বেকারত্ব নিরসনের লক্ষ্যে দলটি গঠিত হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক সংগঠন ও সাধারণ জনগণের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ ভাবে আমজনতা দল দেশের জন্য কাজ করতে চাই।

আরও পড়ুন – বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টরের নিচে মোটরসাইকেল চালক নিহত

পরিচিতি সভায় ১১৯ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির নেতৃবৃন্দকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় এবং সার্বভৌমত্ব, স্বনির্ভরতা ও সুশাসন নিশ্চিত করতে দলটির পক্ষ থেকে ১০ দফা কর্মসুচি তুলে ধরা হয়।

বাসের ধাক্কায় ট্রাক্টরের নিচে মোটরসাইকেল চালক নিহত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে বাস, মোটরসাইকেল ও ট্রাক্টরের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন।

সোমবার (১৯ মে) দুপুর দুইটায় দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়কের কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম সুরুজ আলী (২২)। তিনি উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউরিয়া এলাকার শফিক্লু ইসলামের ছেলে। তিনি কুষ্টিয়া শহরের একটি ফার্মেসীতে কর্মরত ছিলেন।

হাইওয়ে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কুষ্টিয়া – রাজবাড়ী আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে কুমারখালী থেকে মোটরসাইকেল করে সুরুজ কুষ্টিয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথে কুমারখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় পৌছালে সুরুজ ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গেলে কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি অজ্ঞাত বাস তার মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলসহ সুরুজ ছিটকে ট্রাক্টরের নিচে পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সুরুজ।

এ সময় স্থানীয় বাসিন্দা টিপু স্লুতান বলেন, সবুজ ট্রাক্টর গাড়িটিকে ওভারটেক করার সময় তাকে একটি বাস এসে ধাক্কা দিলে দুর্ঘটনাটি ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান সবুজ। পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেছেন।

নিহত সুরুজের ছোট ভাই সবিজ হোসেন বলেন, ভাই একটি ফার্মেসীতে কাজ করে। বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কুমারখালী এসেছিল। কুষ্টিয়া কর্মস্থলে ফেরার পথে বাস, ট্রাক্টর ও মোটরসাইকেলের ত্রিমুখী সংঘর্ষে মারা গেছেন। অবৈধ ট্রাক্টর মহাসড়কে না চললে এই দুর্ঘটনা ঘটত না। আমি বিচারের চেয়ে মামলা করব।

আরও পড়ুন – ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে প্রধান শিক্ষকের নামে মামলা

কুষ্টিয়ার চৌড়হাঁস হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক জয়দেব কুমার সরকার বলেন, মোটরসাইকেলটি ইট বোঝায় ট্রাক্টরকে ওভারটেক করতে গেলে বাসের ধাক্কায় দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন মোটরসাইকেল চালক। এ ঘটনায় দুমড়ে মুচড়ে যাওয়া মোটরসাইকেল এবং ঘাতক ট্রাক্টরটিকে জব্দ করা হয়েছে। মরদেহটি উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজের লাশ উত্তোলনে পরিবারের বাধা

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জুলাই ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে নিহত হাফেজ মোহাম্মদ জুবায়ের আহমদের (১৭) লাশ কবর থেকে উত্তোলন করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েছেন ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী...

দৌলতপুরে হামলায় দুই এসএসসি শিক্ষার্থী আহত

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এসএসসি ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশ নিতে এসে বহিরাগতদের হামলার শিকার হয়েছেন দুই পরীক্ষার্থী। বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার হোসেনাবাদ টেকনিক্যাল স্কুল...

ঝিনাইদহে জব্দকৃত ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে বিভিন্ন সময়ে উদ্ধারকৃত ১১৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার ভারতীয় মাদকদ্রব্য ধ্বংস করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকালে মহেশপুর ৫৮ বিজিবি...

মেলা কেন্দ্র করে জামায়াত-বিএনপির সংঘর্ষে আহত ১১

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রায় দেড়শ বছরের ঐতিহ্যবাহী গাজীকালু - চম্পাবতী মেলা বসানো নিয়ে জামায়াত ও বিএনপির নেতা-কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও...

কুমারখালীতে সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীতে গড়াই নদীর ওপর নির্মিত সৈয়দ মাসউদ রুমী সেতুর টোল আদায় বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন অনু্ষ্িঠত হয়েছে। বুধবার (২১ মে) বিকাল সাড়ে...