দৌলতপুরে ২০ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি,পদ্মার পানি বিপদ সীমা ছুঁই ছুঁই

0
95

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

পদ্মা নদীতে আকষ্মিক পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দৌলতপুরের বন্যা পরিস্থিতির অবণতি ঘটেছে। উপজেলার দুই ই্উনিয়নের ২০টি গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এসব গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।

পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় প্রতিদিনই উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন পদ্মা চরের পানিবন্দিরা। পদ্মার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করবে বলে স্থানীরা আশঙ্কা করছেন। মরিচা ই্উনিয়নের পদ্মা নদীর প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙ্গন নিয়ন্ত্রনের জিও ব্যাগ ফেলেতে শুরু করেছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হার্ডিঞ্জ ব্রীজ পয়েন্টে পদ্মা নদীর পানি প্রতিদিন প্রায় দশমিক ১২-১৫ সেন্টিমিটার করে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। বুধবার এ নদীর পানি বিপদসীমার দশমিক ৩৭ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এদিকে দৌলতপুর উপজেলার ভাগজোত পয়েন্টে গত ২৪ ঘন্টায় দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পদ্মার পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এর প্রধান শাখা গড়াই নদীতেও পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইয়াকুব আলী জানান, দু’দিন আগেও যেসব এলাকা শুকনা ছিল। এখন সেখানে পদ্মার পানিতে থৈই থৈই করছে। অনেকের বাড়িতে রান্না করার জায়গাটুকুও ফাকা নেই। ফলে তাদের খাবার ও বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজ মন্ডল ও চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ জানান, চরাঞ্চলের অন্তত ২০টি গ্রামে অধিকাংশ বসতবাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। দুই ইউনিয়নের ৮ হাজার পরিবারের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান বলেন, পানিবন্দি মানুষের তথ্য সংগ্রহ করে তাদেও সাহার্যে এগিয়ে আসার জন্য স্থানীয় চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

দৌলতপুর আসনের সাংসদ অ্যাড. আ. ক. ম. সারওয়ার জাহান বাদশাহ বলেন, পদ্মায় হঠাৎ পানি বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার চার ইউনিয়নের মানুষ তির মুখে পড়েছে। বিশেষ করে চিলমারী ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের বহু মানুষ পানিবন্দি হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন। সব সময় তাদের খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। পানিবন্দি এসব মানুষকে বাচাঁতে খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি, ঔষধসহ জীবন রাকারী সামগ্রী প্রয়োজন। চরাঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তার জন্য স্থায়ী শেল্টার সেন্টার নির্মানের জন্য সরকারের কাছে দাবী জানান।