স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসার ৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল – ক্লিনিক ও একটি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধের নোটিশ জারির পরে বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গড়ে ওঠা প্রায় ডজন খানেক অবৈধ প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার রমরমা ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। ডাক্তার নার্স এমনকি প্যথলজি কাজের টেকনিশিয়ান হীন সাইনবোর্ড সর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানের উপর স্বাস্থ্য প্রশাসনের নজর পরে। স্বাস্থ্য সেবার নামে প্রতারণার ঘটনার অভিযোগের তদন্তে বেড়িয়ে আসে থলের বিড়াল। এ তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে চলতি মাসের প্রথম দিন উপজেলা সদরের খোকসা আধুনিক হাসপাতাল, খোকসা আইডিয়াল হাসপাতাল, এনআর কিনিক ও ১টি ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধে সিভিল সার্জন কুষ্টিার থেকে আদেশ জারী করা হয়। ৬ ফেব্রæয়ারী কিনিক ও ডায়াগনিষ্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ অবৈধ ব্যবসা বন্ধের আদেশ রিসিভ (গ্রহন)করেন। কিন্তু আদেশের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে একাধিক প্রতিষ্ঠান বহাল তবিয়তে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।

শনিবার সকালে খোকসা আধুনিক হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবার সাভাবিক কাজ কর্ম চলতে দেখা যায়। এ সময় একজন প্যারামেডিক ডাক্তারকে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে যেতে দেখা যায়। কিনিকটির গেটেই ছুটে আসা কর্মচারী ফরিদ স্বীকার করেন, তারা স্বাভাবিক কাজ কর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। নয়ন নামের প্যারামেডিক ডাক্তার শনিবার সকালে এক প্রসূতির সিজার অপারেশন করে বেডি গেলেন বলে জানান। তবে প্রধান ফটক বন্ধ পাওয়া যায় খোকসা আইডিয়াল হাসপাতাল এবং এনআর কিনিকের।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গজিয়ে ওঠা স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠান গুলো রোগীদের সাথে পুরোপুরি প্রতারণা করছে। একটি ডায়াগষ্টিক সেন্টার বা প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার কিম্বা প্রশিক্ষিত নার্স নেই। এমনকি একজন দক্ষ প্যাথলজিষ্ট নেই। এসব প্রতিষ্ঠানের মালিকদের স্ত্রী অথবা আত্মীয় স্বজন সরকারী হাসপাতালের চাকুরি করেন। বিশেষ করে হাসপাতাল থেকে গর্ভবর্তী রোগীদের ভাগিয়ে নিয়ে নিজের কিনিকে সিজার করাই এদের কাজ।
খোকসা আধুনিক হাসপাতালের মালিক হারুন অর রশিদ মুঠোফোনে জানান, তিনি প্রতিষ্ঠান বন্ধের নোটিশ পাওয়ার পর উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। ২৮ টাকা খরচ করে অনলাইনে আবেদন করেছেন। তবে কিনিক চালুর ব্যাপারে কোন আদেশ পাননি বলে স্বীকার করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কামরুজ্জামান বলেন, এ বিষয়ে তিনি কোন চিঠি পাননি।