স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনিষ্টিক সেন্টারের প্যাথলজি টেকনিশিয়ান ও কলেজ ছাত্র রহস্য জনক ভাবে ক্লিনিকের বন্ধ ক্লসিপল গেটের ভিতর মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার দিনগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়গনষ্টিক সেন্টারের ক্লসিপল গেটের ভিতর থেকে প্যাথলজি টেকনিশিয়ান হিরন (২৩) কে সঙ্গাহীন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃতবলে ঘোষনা করেন। তবে ওই নিহত কলেজ ছাত্র ও প্যাথলজি টেকনিশিয়ানের ডান হাতে বিদ্যুতের সর্কে পোড়ার দুইটি ক্ষত চিহ্ন পাওয়া যায় ।
প্যাথলজি টেকনিশিয়ান হিরন উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের সিংঘরিয়া গ্রামের আকমল হোসেনের ছেলে। তিনি পাংশা সরকারী মহাবিদ্যালয়ের অনার্স ৩য় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। নাম মাত্র পারিশ্রমিকে তিনি ওই হাসপাতালে চাকরি করতেন।
আরো পড়ুন – কুষ্টিয়ায় ছাত্রী আত্মহত্যা করেছে
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাস ষ্ট্যান্ড এলাকার অদূরের খোকসা হেল্থ কেয়ার প্রাইভেট হাসপাতাল ও ডায়াগষ্টিক সেন্টার এলাকা রাতে অনেকটা জনশূন্য থাকে। রাতের আধারে এ এলাকায় অসামিজ কর্মকান্ড চলে। নেপথ্যের কোন ঘটনায় জড়িত থাকা বা বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর জের ধরে এ হত্যা কান্ড ঘটতে পারে।
নিহতের মা ছকিনা খাতুনের দাবি, তার ছেলে সুস্থ ও মেধাবি ছিল। রোজা শুরু কয়েকদিন আগে হিরন চাকরিতে আসে আর বাড়ি যায়নি। হাসপালের মালিক তাকে ঈদের দিনেও ছুটি দেয়নি। ছেলের সাথে ফোনে কথা হোত। সে সময়ে কম বেতনের কারণে চাকরি ছেড়ে দিতেও চেয়েছিল। সংসারের অভার আর লেখা পড়ার খরচের জোগানের জন্য চাকরি ছাড়েনি। হাসপাতালে মৃত ছেলে কাছে দাঁড়িয়ে তিনি সবার কাছে একই প্রশ্ন করেন, তার ছেলের যদি স্বাভাবিক মৃত্যু হয় তা-হলে তার হাতে পোড়া চিহ্ন কিসের।
আরো পড়ুন – খোকসায় বঙ্গবন্ধু-বঙ্গমাতা ফুটবলের ফাইনালে গোপগ্রাম চাম্পিয়ন
হাসপাতালের মালিক সেলিম হোসেন বলেন, তাদের কর্মচারী হিরোন হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছে। তার হাতে যে পোড়ার চিহ্ন দেখা যাচ্ছে সে অনেক পুরাতন বলেও তিনি জানান। স্বাভাবিক ভাবেই সে মারা গেছে বলে দাবি করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ সাইদুজ্জামান বলেন, হিরনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার হাতের ক্ষত চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে বিদ্যুতের সর্টে তার মৃত্যু হয়েছে।
হাসপাতালে উপস্থিত খোকসা থানা পুলিশের এসআই দীপন বলেন, রাতে সড়কে পাহাড়া থাকায় তিনি ওই যুবকের মৃত্যুও সংবাদ পান। তবে কিভাবে মৃত্যু হয়েছে তা বলতে পারে না।
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।