স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় বন্ধুদের সাথে বিরোধের ঘটনার সূত্র ধরে অস্টম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অফিসে ডেকে নিয়ে বেধরক পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত শিক্ষক হুমকী দিয়ে বললেন, অভিযোগ করলে ওই ছাত্রকে টিসি দেওয়া হবে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা সদরের খোকসা জানিপুর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী দিপন বিশ্বাসের সাথে তার এক বন্ধুর হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জের ধরে অভিযুক্ত ছাত্র দিপনকে বিদ্যালয়ের অফিসে ডেকে নেয়া হয়। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক অনুপস্থিত থাকায় সিনিয়র শিক্ষকরা দিপনের সাথে কথা বলছিল। এমন সময় বিদ্যালয়ের কারিগরি শাখার শিক্ষক মঞ্জুরুর রহমান মকুল সেখানে উপস্থিত হয়ে দিপনকে বেধরক মারপিট করে।
এক পর্যায়ে ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পরলে তার মাথায় পানি দিয়ে সুস্থ্য করে সেখানে বসিয়ে রাখা হয়। পরে কাসের অন্য ছাত্ররা দিপনকে মুক্ত করে। বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অফিসে অভিযোগ নিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। স্থানীয় দ্রোহ পত্রিকার অফিসের মধ্যে ওই শিক্ষক আহত ছাত্রের মায়ের সাথে অশোভন আচরণ করেন। এই সাথে তার ছেলেকে অন্য স্কুলে পড়াতে হবে বলেও হুয়ার করে দেন।
দিপন জানান, বন্ধুদের মধ্যে ভুলবোধা বুঝি হয়। এ নিয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে শোনা হচ্ছিল। কিন্তু শিক্ষক মঞ্জুরুর রহমান মকুল সেখানে ঢুকে তার উপর বেত নিয়ে চড়াও হয়। ওই শিক্ষক ছাত্রটির মাকে গালাগালি করেছেন।

আহত ছাত্রের বাবা দেবাশিষ বিশ্বাস বলেন, শিক্ষক চাইলে ছাত্রকে শাসন করতে পারেন। তবে শাসন মানে এই না, বেতের আঘাতে ক্ষতের সৃষ্টি করা। দায়িত্বহীন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
অভিযুক্ত শিক্ষক মঞ্জুরুর রহমান মকুল স্বীকার করেন, শাসন একটু বেশী হতে পারে। ওই ছাত্রের বাবা তার ছেলেকে শাসন করতে বলেছেন। এ নিয়ে অভিযোগ করলে ওই ছাত্রকে টিসি দেওয়া হবে বলেও তিনি হুশিয়ারী দেন।
আরো পড়ুন – কুমারখালীর ঘটিগরম বিক্রেতা বয়স্কভাতা কার্ড পেলেন
কারিগরি শাখার সিনিয়র শিক্ষক শরিফুল ্ইসলাম জানান, একই শ্রেনির অপর এক ছাত্রকে মারার অভিযোগ সম্পর্কে দিপনের কাছে শোনা হচ্ছিল। কিন্তু মঞ্জুরুর রহমান হঠাৎ করে ছাত্রটিকে মারপিট করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিপন বিশ্বাস বলেন, তারা অভিযোগ দিক। তার পরে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের মাধ্যমে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিব।