কুমারখালীর ১৬ মৎস্যজীবী পেলেন অনুদানের বাছুর গরু

0
94

কুমারখালী প্রতিনিধি

আমি শারীরিক প্রতিবন্ধী মানুষ। মাছ ধরে খাই। শুনিছি শেখ হাসিনার সরকার আমাকে একটা গরু অনুদান দিচ্ছে। তাই গরুডা নিতি আইছি। আগে কখনো পাইনাই, এবারই শেখ হাসিনার অনুদান পাইছি।

শনিবার (৪ মে) দুপুরে কুমারখালী উপজেলা পরিষদ চত্বরে কথা গুলো বলছিলেন মৎস্যজীবী আকাল শেখ (৪২)। তিনি উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি সরকারিভাবে একটি অনুদানের গরু পেয়েছেন।

“ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা” প্রকল্পের আওতায় মৎস্যজীবীদের বিকল্প উপায়ে জীবিকা নির্বাহের উপকরণ সহায়তা হিসাবে ১৬ জন জেলের মাঝে ১৬ টি বকনা বাছুর গরু বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি গুরু ক্রয়ে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার টাকা।

উপজেলা পরিষদ চত্বরে উপজেলা প্রশাসন ও সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া ৪ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আমিরুল আরাফাতের সভাপতিত্বে এসময় সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে চর সাদিপুর ইউনিয়নের ঘোষপুর গ্রামের জেলে সিরাজ প্রামাণিক বলেন, আমরা গরিব মানুষ। শেখ হাসিনার সরকারের সহায়তা হিসেবে একটি বকনা গরু দিছে। এই গরুটি লালন পালন করলে ভবিষ্যতে আরো বাছুর হবে। সেগুলো বিক্রি করে আমরা আর্থিকভাবে লাভবান হবো।

জগন্নাথপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদী পাড়ের বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, সরকারি অর্থায়ণে এর আগে অনেক জেলেকেই গরু দিয়েছিল। এবার আমিও একটি পেয়েছি। খুব খুশি লাগছে।

গরু বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কুষ্টিয়া ৪ আসনের এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ বলেন, বছরে কয়েকমাস জেলেরা মাছ ধরা থেকে বিরত থাকেন। সেজন্য জেলেদের বিকল্প জীবিকানির্বাহের জন্য বকনা বাছুর করা প্রদান করা হয়েছে। ু