ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই সামাজিক দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২১ জন অহত হয়েছেন।
উপজেলার পোলভাতুড়িয়া গ্রামে দুই প্রতিবেশীর বাড়ি থেকে বৃষ্টির পানি বেড় করা নিয়ে বিরোধ হয়। শনিবার সকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টুর নেতৃত্বে বিরোধ নিস্পিত্তির বৈঠক ডাকা হয়। এ বৈঠক শুরুর আগেই এ হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।
গ্রামবাসি সুত্রে জানা গেছে, গত ১১ মে হরিণাকুন্ডুর পোলভাতুড়িয়া গ্রামের আজিবর রহমানের বাড়ির বৃষ্টির পানি প্রতিবেশী মশিউর কাজীর উঠান দিয়ে খালে বের করা নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তারা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয়পক্ষের ৭ জন আহত হয়েছিল। এক পর্যায়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান উভয়পক্ষের সম্মতিতে বিষয়টি মীমাংসা উদ্যোগ নেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে হাশেম কাজী মাঠে গেলে প্রতিপক্ষ বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান মেম্বরের লোকেরা তার উপর উপর অতর্কিত হামলা করে। এ সময় হাশেম কাজী ও হাসর কাজী আহত হন। এ খবর গ্রামে ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের ২১ জন্য আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সংঘর্ষে আহত ১১ জনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল, ৯ জনকে হরিণাকুন্ডু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, ৩ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল, ২ জনকে ফরিদপুর ও ২জনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত বর্তমান ইউপি সদস্য কুরবান আলীসহ ৫ জনকে আটক করেছে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরাফত দৌলা ঝন্টু বলেন, বৃষ্টির পানি বের করা নিয়ে ঘটনার সুত্রপাত। রেশারেশি থেকে শনিবার আবারো দুই গ্রæপ মারামারিতে লিপ্ত হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। সবাইকে উদ্ধার করে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউর রহমান বলেন, দু’পক্ষের সংঘর্ষে অনেকে আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ইউপি সদস্য কুরবান আলীসহ ৫ জনকে আটক করা হয়েছে এবং মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।