স্টাফ রিপোর্টার
খোকসায় কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের রাস্তায় দাঁড়াতে দেয়নি পুলিশ। বিভিন্ন জায়গা থেকে কমপক্ষে ১৮ ছাত্রকে থানায় ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। স্কুল ও কলেজের ছাত্রীদেরও রাস্তায় জিজ্ঞাসাবাদের ঘটনা চোখে পরে। এসময় ছাত্রলীগের একটি গ্রæপ ছিল সক্রিয়।
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের পক্ষে খোকসা বাসস্ট্যান্ডে গনজমায়েতের ডাকদেয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। দুপুরে বাস স্ট্যান্ডের ইসলামী ব্যাংকের সামনে অবস্থান নেয় থানা পুলিশ। একই সাথে উপজেলা সদর জুড়ে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়। বাসস্ট্যান্ড, খোকসা সরকারী কলেজ এলাকা, খোকসা খেয়া ঘাট এলাকা থেকে ছাত্রদের গনহারে ধরপাকরও করা হয়। আন্দোলনকারী সন্দেহে ১৮ জন ছাত্রকে থানায় নিয়ে যাওযা হয়। সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওইসব ছাত্র থানায় ছিল।

পুলিশের নজরদারিতে পরে প্রাইভেট পড়তে আসা স্কুল কলেজের ছাত্রীরা। খোকসা বাস স্ট্যান্ডে একদল ছাত্রীকে জিজ্ঞাসা বাদ করে পুলিশ। তাদের নাম ঠিকানা লিখে নেয়।
খোকসা সরকারী কলেজের পেছনের একটি রাস্তায় তিন কিশোর কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীর সাথে কথা বলা হয়। তারা আট পেপারে নিজে হাতে লেখা পোষ্টার নিয়ে বাসস্ট্যান্ডের জমায়েতে যাচ্ছিল। কিন্তু পুলিশের ধাওয়ায় আত্মগোপন করেছে। তারা বেরোবি’র ছাত্র আবু সাঈদের গুলি করে হত্যার দৃশ্য ভুলতে পারছেনা। প্রতিশোধের নেশায় নয়, প্রতিবাদ জানাতে তারা এসেছিল।

থানায় নিয়ে যাওয়া ছাত্র তানিম এর বাবা খরি ব্যবসায়ী নাজিম উদ্দিন জানান, তার ছেলে ব্যবসায়ীক কাজে তার কাছে এসেছিল। কিন্তু পুলিশ তাকে জোর করে তুলে নিয়ে গেছে।
রাস্তা থেকে ১৫ জন ছাত্রকে থানায় নেওয়ার কথা স্বীকার করেন থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননুর যায়েদ। তবে তাদের গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি বলেও জানান। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে। থানায় আনা ছাত্রদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানান।