কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ায় কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সংঘর্ষে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের মজমপুর থেকে চৌড়হাস পর্যন্ত রণক্ষেত্র পরিণত হয়। থেমে থেমে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। এ সময় আন্দোলনকারী ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে এই সংঘর্ষের শুরু হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী, আন্দোলনকারী ও পুলিশের সাথে কথা বলে জানা গেছে, পূর্ব ঘোষিত কর্মসুচি উপলক্ষে বেলা সাড়ে ৩টা থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কের সাদ্দাম বাজার মোড়ে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। এসময় তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকে। সেখানে পুলিশ গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কয়েক ঘন্টাব্যাপী চলা এই সংঘর্ষে পুরো কুষ্টিয়া শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দোকান পাঠ বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা দিকবিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। পরে ছত্রভঙ্গ আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আবার সংঙ্গবদ্ধ হয়ে কয়েকটি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে পুলিশের উপর পাল্টা হামলা চালায়। পুলিশের টিয়ারসেল এবং রাবার বুলেটের আঘাতে ১৭জন আহত হন। আহতদের কয়েকজনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
আহতদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের দাবী তাদের শান্তিপূর্ন সমাবেশে পুলিশ বিনা কারণে হামলা চালায় এবং শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালায়।
কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তি নাথ বলেন, বিকালে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করলে আমরা তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি যে সরকার যেহেতু আপনাদের দাবী মেনে নিয়েছে সেহেতু আপনারা ঘরে ফিরে যান। কিন্তু তারা কথা না শুনে পুলিশের উপর চড়াও হয়। তখন পুলিশ তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ছোড়ে।