খোকসায় ১৩ বছর পর বিএনপির কর্মী সমাবেশ

0
142

স্টাফ রিপোর্টার

টানা ১৩ বছর পর খোকসা থানা বিএনপি প্রকাশ্যে কর্মী সমাবেশ ডেকেছে। বিএনপির দ্বিধাবিভক্ত নেতারা এক মঞ্চে বসবেন, দীর্ঘ বিরোধের অবসান হবে, এমন প্রত্যাশা সাধারণ কর্মীদের। তবে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থাকা নেতাদের দলে আশ্রয় দেওয়াকে কেন্দ্র করে মঞ্চ উতপ্ত হওয়ার শঙ্কা দেখছেন কর্মীরা।

দলীয় সূত্র জানায়, বুধবার সকালে খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে থানা বিএনপি’র কর্মী সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবে। এ সমাবেশ সফল করতে দ্বিধাবিভক্ত থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী, থানা বিএনপির সহ সভাপতি আলাউদ্দিন খান, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আহমেদ খান রাজু পৃথক পৃথক প্রস্তিুতি সভা করে চলেছেন। এ (বুধবারের) কর্মীসমাবেশে থানা বিএনপি ও পৌর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হতে পাতে পারে। তবে জেলার নেতারা ফিরে গিয়ে নতুন আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করেন।

সূত্র গুলো জানায়, বিগত ২০১১ সালে খোকসা ডিগ্রী কলেজ মাঠে বড় ধরনের আনুষ্ঠানিকতার মধ্যদিয়ে থানা বিএনপির কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ে ছিলো। এরপর আর বড় ধরণের সমাবেশ করতে পারেনি দলটি। গত আওয়ামী সরকারের শেষ ৫ বছরে থানা বিএনপির প্রধান অফিস খোলা পরেনি। বিএনপির আদেশ উপেক্ষা করে অনেক নেতা ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থীর পক্ষে সংসদ, উপজেলা ও স্থানীয় নির্বাচনে ভোট করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে। ওই সব নেতাদের আবার দলে স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে দলটির থানা পর্যায়ের প্রথম সাড়ির একাধিক নেতাদের বিরুদ্ধে।

সূত্রমতে অত্যন্ত গোপনিয়তার মধ্যে ২০১৯ সালে জেলা বিএনপির তৎকালীন সভাপতির কুষ্টিয়ার অফিসে থানা ও পৌর বিএনপির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ২০২১ সালে বর্তমান কমিটির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলীর উপজেলা সদরের বাসায় বসে কমিটি করা হয়।

গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকার পতনের পর বিএনপির স্থানীয় নেতারা পাখা মেলার চেষ্টা করে। এসময় দলীয় সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া আওয়ামী ঘরানার নেতাদের দলে ভেড়ার সূযোগ সৃষ্টি ও ক্ষমতার দন্দে কয়েক দিনের মধ্যে নেতাদের মধ্যে মুখ দেখা দেখি বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া জেলা বিএপির নেতাদের বিরোধের আচ লাগায় উপজেলা সদরে একাধিক অফিস খোলা হয়েছে।

যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি আলাউদ্দিন শেখ বলেন, বিএনপি করার কারণে তার বিরুদ্ধে একাধিক নাশকতার মামলা দেওয়া হয়েছে। নিজের অস্তিত্ব রক্ষায় থানা পর্যায়ের প্রথম সাড়ির নেতারা বিভিন্ন সময়ে আওয়ামী লীগের হয়ে জেলা , উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের ভোট করে দিয়েছেন। এখন তার মত ছোট নেতাদের উপর দোষ চাপানো হচ্ছে।

পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক নাফিজ আহমেদ রাজু বলেন, কর্মী সমাবেশের ব্যাপারে সবাই একমত হয়েছেন। ‘আসলে রাজনীতিতে কখন কি হয় তা অনিশ্চিত। আল্লাহ সব করেন।’ বলে মন্তব্য করেন। অভ্যন্তরীন বিরোধ মোটানোর তাগিত ছিল তার বক্তব্যে।

উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান জানান, পাশা-পাশি বসে বিএনপির নেতা কর্মীরা নজির সৃষ্টি করতে যাচ্ছেন। সমাবেশে ¯েøাগান পাল্টা ¯েøাগান হবে না। এ ছাড়া তারা সবাই মঞ্চে থাকবেন।

তিনি আরও জানান, কর্মী সমাবেশে বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত করা হতে পারে। নেতারা জেলায় ফিরে আহবায়ক কমিটি ঘোষনা করবেন।

থানা বিএনপির সভাপতি সৈয়দ আমজাদ আলী বলেন, শান্তি পূর্ণ পরিবেশে কর্মী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। নতুন কমিটির বিষয়ে জেলা নেতারা সিদ্ধান্ত নেবেন।