স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ায় খোকসায় স্কুলের শ্রেণি কক্ষে ও বাড়ি ফেরার পথে দফায় দফায় হামলায় আহত দুই ছাত্রকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
উপজেলার ওসমানপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সোমবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ হামলা আহত হয়েছে দশম শ্রেণির ছাত্র রাকিবুল ইসলাম (১৪) ও স¤্রাট (১৬)। আহত রাকিবুল রায়পুর গ্রামে জমির উদ্দিনের ছেলে। অপর আহত স¤্রাট ওসমানপুর গ্রামের লোকমান হোসেনের ছেলে। আহতদের শিক্ষকরা উদ্ধার করে অভিভাবকদের মাধ্যমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়নি।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাকিবুল জানায়, এদিন তারা দুই বন্ধু ক্লাসে মধ্যে নিজেদের মধ্যে কথা বলছিল। এ সময় তাদের একটি কাঠি একই শ্রেণির তুষারের গায়ে লাগে। এ ঘটনায় ক্লাসের মধ্যে তাদের দুই বন্ধুকে মারপিক করে প্রতিপক্ষের ছাত্ররা। এ ঘটনায় শ্রেণি শিক্ষক আল আমিন হামলাকারি তুষার ও তার বন্ধুদের বিচারের মুখমুখি করে। এ ঘটনার জের ধরে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে হামলার শিকার ছাত্রদের উপর তুষার ও তার সমর্থকরা হামলা করে বেধরক পিটায়। পরে স্কুলের শিক্ষকরা আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে নিজনিজ অভিভাবকের মাধ্যমে আহত ছাত্রদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্ষে ভর্তি করে। তারা এ হামসলা জড়িতদের বিচারের দাবি করেন।
অপর আহত ছাত্র স¤্রাটকে ঘুমের ওষুধ দিয়ে ঘুমিয়ে রাখা হয়েছে। তারা মা স্বপ্না খাতুন জানান, এক বছর আগেও তুষারের নেতৃত্বে এই দুই ছাত্রকে ছুরিকাঘাত করে। সেবার স্কুলের শিক্ষকরা মামলা করতে দেয়নি। এবারেও শিক্ষকরা ওই ছাত্রদের স্কুল থেকে বেড় করে দিতে চেয়েছে। এ ছাড়া বিচারের প্রতিশ্রæতি দেওয়া তারা থানায় যায়নি। তবে তিনি ছেলের উপর হামলা কারীদের বিচারের দাবি করে।
আরও পড়ুন – ইন্টারপোলের মাধ্যমে পুতুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ
সহকারী শিক্ষক আল আমিন জানান, তুষার ও তার দলবল প্রথমে ক্লাসের মধ্যে দুই ছাত্রকে মারপিট করে। তিনি যাওয়ার আগেই হামলাকারীরা শ্রেণি কক্ষে বই রেখে পালিয়ে যায়। ক্লাস থেকে তাদের বই এনে স্কুলের অফিসে রাখা হয়। স্কুল ছুটির পর পথে আবাও এই ছাত্রদের উপর তুষার হামলা করে। সেখান থেকে আহত ছাত্রদের উদ্ধার করে অভিভাবকদের কাছে আহতদের তুলে দেওয়া হয়েছে। স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির নেতাদের বিষয়টি জানানো হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার)দুই পক্ষকে ডেকে তারা ব্যবস্থা নেবেন।
আরও পড়ুন – মিরপুরের ধর্ষীত শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে কলকরা হয় তিনি ফোন ধরেনি।