স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় একটি ইউনিয়ন বিএনপির অফিসে জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের ছবিতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ষড়যন্তের গন্ধ পাচ্ছেন উপজেলা বিএনপির একাংশ।
শুক্রবার দিনগত গভীর রাতে উপজেলা ওসমানপুর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের বৈঠক খানায় নেতাদের মাথার উপর ঝুলানো জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের তিনটি ছবির মুখ নাক ও চোখের উপর ম্যাচ লাইটের আগুন দিয়ে পোড়ানো হয়েছে। গভীর রাতে অগ্নি সংযোগের সময় ৫/৬ জন যুবককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন মৎস্য শিকারীরা। রাতের আঁধারে পালিয়ে যাওয়া যুবকদের সবাই আওয়ামী লেিগর লোক বলে দাবি করছে স্থানীয় বিএনপির নেরতারা। অগ্নিকান্ডের পর শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিসে যাননি সভাপতি বিএনপির সভাপতি তৈয়বুর রহমান ও সম্পাদক সান্টু।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান দলীয় প্রধানের ছবি পোড়ানোর ঘটনার সাথে দলীয় প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন।
গড়াই নদীর খোকসা খেয়া ঘাট পার হয়ে ওসমানপুর বাজার। এই বাজারের পাকা রাস্তার পাশেই টিনের দো চালা ঘরে ওসমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির অফিস। নেতাদের দাবি ২৫ বছর এখানে অফিস চলছে। অর্ধেক ঘর টির দিয়ে ঘেরা। রাস্তার দিকে বৈঠক খানা। সেখানেই টাঙানো সাবেক রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, সাবেক প্রধান মন্ত্রি খালেদা জিয়া ও দলটির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পোটলেট আকৃতির ছবি। আর এ ছবিতেই আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার তখন বেলা ১টা। নেতাদের মাথার উপর পোড়া ছবি গুলো ঝুলছিল। অফিসে বসেছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি শহিদুল ইসলাম। তিনি জানান, রাত ২টার পর একদল জেলেরা গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার সময় অফিসের সামনে থেকে কিছু লোককে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেছে। তিনি আরও দাবি করেন পালিয়ে যাওয়ারা আওয়ামী লীগের কর্মী। তারাই এই অগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।
ফোনে কথা বলা হয় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি তৈয়বুর রহমানের সাথে। তিনি অফিসের ছবি পোড়ানোর খবর পেয়েছেন। অসুস্থ্যতার জন্য অফিসে যেতে পারেননি। তবে সবার সাথে ফোনে ফোনে কথা বলেছেন। পুলিশ এসেছিল। মামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে তিনি শুনেছেন পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন – ভারত নিয়ে ফজলুর রহমানের মন্তব্য একান্ত ব্যক্তিগত – পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আলাউদ্দিন খান বলেন, বিএনপির অভ্যন্তরীন বিরোধের সূত্রধরে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে অগ্নি সংযোগ করা হতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি ঘটনাটির সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন। তিনি দোষিদের চিহ্ণিত করে শাস্তিরও দাবি করেন।
আরও পড়ুন – কুমারখালীতে নাশকতার মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত শেখ মাঈনুল ইসলাম জানান, ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আবুল কালাম বাদি হয়ে মামলা করতে থানায় আসছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ছাড়া দোষীদের শনাক্ত করতে পুলিশের অভিযান চলছে। অপরধী আটক হলেই থানা পুলিশের হোয়াট অ্যাপ গ্রæপে দেওয়া হবে।