কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার বহুল আলোচিত মাদক সম্রাজ্ঞী কামিনী বেগম (৪৩) কে গ্রেপ্তার করেছে সেনাবাহিনী।
শনিবার সকালে সদর উপজেলার চৌড়হাস ফুলতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি একই এলাকার আজাদ সরদারের স্ত্রী। এরপর কামিনীকে মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরে পুলিশ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
এর আগে গত বুধবার (১ মার্চ) মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়ার উপ-পরিদর্শক রাসেল কবির বাদী হয়ে মডেল থানায় কামিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলার প্রধান আসামী হয়ে তিনি পলাতক ছিলেন।
মামলার এজাহারসূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় ক্যাপ্টেন লামইয়ানুল ইসলামের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী কুষ্টিয়া ক্যাম্পের একটি দল চৌড়হাস ফুলতলা এলাকায় অবস্থিত কামিনীর মাদক বিক্রয়ের ডেরা হিসেবে পরিচিত তার ডিমের দোকান ঘরে অভিযান চালায়।
এসময় সেনাবাহিনীর সাথে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কুষ্টিয়া জেলা কার্যালয়ের সহকারি উপ পরিদর্শক সোহরাব হোসেনের টিম উপস্থিত ছিলেন।
অভিযান কালে সেভেন স্টার ডিম ভান্ডার নামের ওই দোকানঘর তল্লাশী করে এক কেজি গাঁজা ও দুই বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করে সেনাবাহিনীর আভিযানিক দল। এরআগে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে কামিনী ও তার সহযোগি মোস্তুফা সরদার পালিয়ে যায়।
এ ঘটনার পর উপ-পরিদর্শক রাসেল কবির কামিনী বেগম ও মোস্তফা সরদারকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন – খোকসায় বিএনপি নেতাদের ছবি পোড়ানোর অভিযোগ
এ তথ্য নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, সেনাবাহিনীর অভিযানের পর থেকে কামিনী পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মামলাও হয়েছে। নিজ এলাকা থেকে তাকে সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর কামিনীকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন – ভারত নিয়ে ফজলুর রহমানের মন্তব্য একান্ত ব্যক্তিগত – পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘ প্রায় দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে কামিনী মাদক ব্যবসার সাথে সম্পৃক্ত। দীর্ঘ এ সময়ে পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের হাতে অন্তত এক ডজনেরও বেশি বার মাদকসহ গ্রেপ্তার হলেও ক্ষমতার প্রভাব আর টাকার জোরে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তিনি জামিনে বের হয়ে পুনরায় মাদকের কারবার শুরু করেন। স্থানীয় এলাকাবাসী ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে কামিনী বেগম মাদক সম্রাজ্ঞী হিসেবেই পরিচিত। পুলিশের খাতায় তার নামে এক ডজনেরও বেশি মাদকের মামলা রয়েছে।