জলাবদ্ধতায় চরম দুর্ভোগে দুই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা

0
40

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

দৌলতপুর উপজেলার আল্লারদর্গা এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় কয়েক হাজার বাসিন্দা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একই চত্বরে অবস্থিত বেসরকারি ট্রেসল ইংলিশ ভার্সন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। আবার ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা জনগণও দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠ এবং নিচতলার সব শ্রেণিকক্ষ পানিতে তলিয়ে গেছে। শ্রেণিকক্ষ ও বারান্দায় জমে থাকা পানিতে পচা আবর্জনা ভাসছে। তীব্র দুর্গন্ধে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসা দুঃসহ হয়ে উঠেছে, ফলে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।

বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চারপাশের বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় এ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন পানি জমে থাকার কারণে একাধিক শিক্ষার্থী চর্মরোগসহ নানা শারীরিক সমস্যায় ভুগছে।

এ বিষয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী পিয়াস বলেন, “পানির মধ্যে হেঁটে স্কুলে আসতে হয়, আবার সেভাবেই বাড়ি ফিরতে হয়। এতে হাতে-পায়ে চর্মরোগ হয়েছে। অনেকেই স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে।”

একই ীভযোগ তুলে ধওেরন অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী প্রশোন আহমেদ তানিম।

আল্লারদর্গা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কামরুল হাসান বলেন, “প্রতি বছরই বর্ষায় কিছুটা জলাবদ্ধতা হয়। তবে এবার পরিস্থিতি ভয়াবহ। যদি দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না করা হয়, তাহলে বেশ কয়েকদিন শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখতে হতে পারে।

হোগলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সেলিম চৌধুরী বলেন, “জলাবদ্ধতা নিরসনে একাধিকবার উপজেলা সমন্বয় সভায় বলেছি। কিন্তু এখনো কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। আমার ইউনিয়ন পরিষদসহ দুটি বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের এই দুর্ভোগের মধ্যে কাজ করতে হচ্ছে।

শিক্ষা প্রাতিষ্ঠানে জলাবদ্ধতা নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোনে পাওয়া না গেলেও অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার কামাল হোসেন বলেন, “মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ইতোমধ্যে বিদ্যালয়গুলো পরিদর্শন করেছেন। দ্রæত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন – জলমগ্ন স্কুল ভবন

দৌলতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, “এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

আরও পড়ুন – ঢলের জল ও ………….