স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের কেক কাটায় অংশ নিয়ে ছিলেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস। ফ্যাসিষ্ট সরকারের সংসদে নারী আসনে সদস্য হতে তদবির করা এ অভিনেত্রী এবার বিএনপির জন্মদিনের কেক কাটার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। তার এই ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে অনেকেই বিরুপ মন্তব্য করেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে চায়ের কাপে সমালোচনার ঝড় বইছে।
বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) খোকসা জানিপুর সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মাঠে বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মেহেদী আহম্মেদ রুমীর অনুসারি রিপন হোসেনের আয়োজনে দলটির ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে শো-ডাউন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। উপজেলা ও পৌর বিএনপির ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নারী সংসদ সদস্যের জন্য মনোনয়ন প্রত্যাশি অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস যোগদেন। অতিথি হিসেবে বক্তব্যে রাখার সময় বিএনপির গুনকীর্তন করেন তিনি। এরপর মঞ্চে কেকে কাটায় অংশ নেন। অল্প সময়ের মধ্যে ভক্ত ও আয়োজকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মঞ্চ ছাড়েন তিনি। এ আয়োজনের দায়-ভার নেননি উপজেলা বিএনপির সভাপতি। তিনি বলেন, আয়োজক (রিপন হোসেন) নিজে বিএনপি’র সদস্যও না।
ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপি ব্যানারে আয়োজিত অনুষ্ঠানের মঞ্চে কেক কাটার প্রস্তুতি চলছে। এ সময় তিনি (আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশি অভিনেত্রী অপু বিশ্বাস) সেচ্ছায় কেক কাটায় ব্যস্ত ছাত্রদলের সাবেক নেতা পাশে দাড়িয়ে ক্যামেরায় পোজ দিচ্ছেন। কেক কাটা হয়ে গেলে একজন সাবেক ছাত্র নেতা অপু’র মুখে কেক তুলে দিচ্ছেন।
নাম প্রকাশে একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন , প্রায় এক যুগেরও বেশী সময় ধরে স্কুলটির দুটি মাঠ রাজনৈতিক নেতারা করায়ত্ব করে রেখেছেন। যে কেউ, যে কোন ভাবে মাঠ ও স্কুলের আঙ্গিনা ব্যবহার করছে। এর ফলে শ্রেনি পাঠদান ও শিশুদের মনের উপর প্রভাব ফেলে। তারা এর প্রতিকারের দাবি ও করেন।
উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সাবেক যুগ্ন আহবায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক বলেন, অপু বিশ্বাস শুধু অভিনেত্রী নয়। তার দলীয় পরিচয় রয়েছে। সে ফ্যাসিষ্ট সরকারের অবৈধ সংসদে নারী সদস্য পদের জন্য লড়েছে। তার দেওয়া ‘জয় বাংলা’ ¯েøাগানের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তাকে বিএনপির অনুষ্ঠানে এনে বিএনপিকে পচানো হয়নি। পচানো হয়েছে ২৪ এ শহীদদের।
এ ব্যাপারে আয়োজক রিপন হোসেনে বলেন, তার অভিজ্ঞতা কম। ভুলক্রুটি হলে দুঃখ প্রকাশ ছাড়া আর কিছু করার নেই।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলাউদ্দিন খান জানান, বিএনপির প্রতিষ্ঠা বাষিকী উপলক্ষে যে রিপন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে সে নিজে বিএনপির কেউ না। অনুষ্ঠান আয়োজনের কোন একতিয়ার তার নেই।