স্টাফ রিপোর্টার
কুষ্টিয়ার খোকসায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন সম্পন্ন হয়েছে। আগামীকাল শুক্রবার কালীবাড়ি কেন্দ্রীয় দূর্গা পূজা মন্ডপ সহ ৫টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর উপজেলা সদরের পৌর এলাকা ও তিন ইউনিয়নের ১০টি মন্ডপের দূর্গা প্রতিমা গড়াই নদীর বিভিন্ন ঘাটে আনা হয়। প্রতিমা গুলো পৃথক পৃথক নৌকায় তুলে প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে প্রদর্শনী করা হয়। সন্ধ্যায় একযোগে এসব প্রতিমা বিসর্জন দেওয়া হয়। এ ছাড়া রাত ৮টায় এ রিপোর্ট লোখা পর্য়ন্ত পদ্মা নদীর কোল, সিরাজপুর হাওড় নদী ও বিভিন্ন জলাশয়ে ৫৪ টি দূর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয়। প্রতিমা বিসর্জনের সময় কোন অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
গড়াই নদীতে দূর্গা প্রতিমা প্রদর্শনের সময় নদীর দুই পাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। নদীর দুই পাড়েই বসে গ্রামীন মেলা। সব শ্রেণি পেশার মানুষ এ উৎসবে জমায়েত হয়।
খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, এ বছর উপজেলার ৫৯টি মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে ৫৪টি প্রতিমা বিসর্জন দিয়েছে পূজা কমিটি। তবে খোকসা কালীবাড়ি, একতার পুর, বেতবাড়িয়া, মানিকাট ও শোমসপুরের ৫টি দূর্গা পূজা কমিটি একদিন পর শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রতিমা বিসর্জন দেবে।
উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাধারন সম্পাদক নারায়ন চন্দ্র মালাকার বলেন, শান্তিপূর্ন পরিবেশে অধিকাংশ মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়ে গেছে। একতারপুর এলাকার প্রতিমা বিসর্জনের রাত সাড়ে ৮টা বেজে যায়। রাতেই ৫৪ টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যাবে। আগামী কাল ৫টি মন্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে।
তিনি আরও বলেন, সনতান ধর্মালম্বীদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গা পূজা। প্রশাসন রাজনৈতি নেতা ও সর্বস্থরের মানুষের সহযোগিতায় পূজা সম্পন্ন করতে পেরেছেন। প্রশাসনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতদাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।