কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
বহুতল ভবনের তিনতলায় পাশাপাশি দুই ফ্লাটে ভাড়া থাকতেন একজন আইনজীবী ও চাকরিজীবী। বুধবার নবমীর রাতে পরিবার নিয়ে গিয়েছিলেন পূজা মন্ডপে ঘুরতে। রাতে বাসায় ফিরে দেখেন দরজার তালা ভেঙে চুরি হয়ে গেছে সোনার গহনা ও নগদ টাকাসহ সর্বস্ব। ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়া শহরের আড়ুয়াপাড়া এলাকায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি লোহার সাপল ও সেলাই রেঞ্জ জব্দ করেছে।
আইনজীবী প্রবীর স্যানাল বলেন,রাত ৯টার দিকে সহধর্মিণীকে নিয়ে পূজা মন্ডপে ঘুরতে বেড়িয়েছিলাম। ঘরের দরজার ছিটকানিতে তালা আটকানো ছিল। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসায় ফিরে দেখি দরজার তালা ভাঙা। ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় আসবাবপত্রসহ সবকিছু এলোমেলো। আলমারির তালা খোলা। ঘরের মেঝেতে কাপড় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এ সময় খোঁজ করে দেখি আলমারিতে রাখা নগদ ১ লাখ টাকা ও প্রায় ৬ ভরি সোনার গহনা নেই।
ভুক্তভোগী আইনজীবী আরো বলেন,একই ভবনে বাড়ির মালিক ও অন্যান্য ভাড়াটিয়ারা বসবাস করেন। চুরির বিষয়টি কেউ টের পাইনি। স্থানীয় কোন চক্র আমাদের গতিবিধি অনুসরণ করে এই চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে। পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে এসে তদন্তু করে গেছে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
মৃত্যরঞ্জন সরকার নামে আরেকজন ভুক্তভোগী জানান,গত সপ্তাহে আমি এই বাসা ভাড়া নিয়েছি। এখানকার কাউকে চিনিও না। নাটোরে একটি বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে চাকরি করি। ছেলে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে পড়াশুনার সুবাদে কুষ্টিয়া শহরে বাসাভাড়া নিয়েছি।
তিনি জানান,আমিও স্ত্রী-ছেলেকে নিয়ে পূজা মন্ডপে গিয়েছিলাম। এ সময় বাড়িওয়ালা ফোন করে জানায় বাসায় চুরি হয়েছে। ফিরে এসে দেখি দরজার ছিটকানি ভাঙা। আসবাবপত্র এলোমেলো। চোর ওয়ারড্রবে রাখা নগদ ৩৫ হাজার টাকা ও এক ভরি সোনার গহনা নিয়ে গেছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন,রাতেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। চুরির বিষয়টি গুরুত্বের সাথে তদন্ত চলছে।