চরমপন্থি নেতা লিপটনের জামিনের আদেশ বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ

0
15

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

আলোচিত চরমপন্থি সংগঠন গণমুক্তি ফৌজের শীর্ষ নেতা জাহাঙ্গীর কবির লিপটন কারাগারে বসে সন্ত্রাসী তৎপরতা অব্যহত রেখেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ অস্ত্র ও গুমের মামলায় সম্প্রতি গোপনে তিনি জামিনও পেয়েছেন। জামিনের আদেশ বাতিলের দাবিতে গতকাল বুধবার এলাকাবাসী বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। সেখানে লিপটনের বিরুদ্ধে হওয়া অন্যান্য মামলার তদন্ত দ্রæত শেষ করে শাস্তির দাবি জানান তারা।

লিপটনের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার উজানগ্রাম ইউনিয়নের দুর্বাচারা গ্রামে। গত ৫ জুন রাতে তাঁকে বাড়ি থেকে তিন সহযোগীসহ আটক করে সেনাবাহিনী। এ সময় উদ্ধার করা হয় ছয়টি বিদেশি পিস্তল, একটি লং ব্যারালগান, ১০টি ম্যাগাজিন, ১৪০টি গুলি, আটটি শিল্ড, ছয়টি বল্লমসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। ঝিনাইদহের শৈলকুপা এলাকার তিন খুন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যাসহ অস্ত্র ও গুমের অভিযোগে মামলা আছে লিপটনের বিরুদ্ধে।

এলাকাবাসীর ভাষ্য, আওয়ামী লীগের শাসনামলে দলটির অন্যতম নেতা মাহবুবউল-আলম হানিফের ঘনিষ্ঠ ছিলেন লিপটন। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর বিএনপির এক শীর্ষ নেতার সঙ্গে সখ্য গড়ে তোলেন তিনি। সেই প্রভাবে নানা অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী তাঁকে গ্রেপ্তার করে।

বুধবার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট চত্বরে কয়েক হাজার নারী-পুরুষ লিপটনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। তাদের অভিযোগ, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও বিচারককে ‘ম্যানেজ’ করে গোপনে লিপটন ও তাঁর সহযোগীরা জামিন নিয়েছেন।

দ্রæত সময়ের মধ্যে তাঁর জামিন বাতিলের দাবি করে তারা বলেন, লিপটন আওয়ামী লীগ সরকারের সময় হত্যা, অপহরণ ও গুমে জড়িত ছিলেন। এলাকায় অনেক মানুষের জীবন নষ্ট করেছেন। জেলে থেকে দল পরিচালনা করছেন। অস্ত্র ব্যবসা করছেন এখনও। তাঁর ভাই প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা হওয়ায় জেলে থেকেও নানা সুবিধা পাচ্ছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, অস্ত্রসহ গ্রেপ্তারের তিন মাসের মাথায় আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন লিপটন। বিষয়টি নিশ্চিত করে কুষ্টিয়া আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘গত ৮ সেপ্টেম্বর জেলা জজ আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন লিপটন। আমরা জামিনের বিরোধিতা করি। তারপরও আদালত জামিন দিলে আমাদের কিছু করার থাকে না। বিষয়টি আমাদের নলেজে আছে।’

এলাকাবাসীর কাছ থেকে স্মারকলিপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফিন। তিনি বলেন, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।