এ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ

0
132
jamal-dro-16-7-p-3
নিহত জামাল হোসেন

শৈলকুপা প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ্যাম্বুলেন্স চালকের অবহেলায় এক রোগীর মৃৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, ১৫ জুলাই সকালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয় শৈলকুপা জামাল অটোর মালিক ও মোটরসাইকেল ম্যাকানিজ জামাল হোসেন। স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্তানন্তর করেন। তবে সরকারি এ্যাম্বুলেন্স চালক বকুল হোসেন নানা অজুহাতে প্রায় ১ ঘন্টা দেরি করেও তিনি না এসে তার ছেলেকে পাঠিয়ে দেয়।

আরও পড়ুন-ঘুড়ি ওড়াতে গিয়ে প্রাণ গেল কিশোরের

পরে ফরিদপুর যাওয়ার পথে ব্যবসায়ী জামালের মৃত্যু হয়। ব্যবসায়ীর এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি তার পরিবার, আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

নিহতের মেজো ভাই আব্দুল ওহেদ বলেন, জামালকে শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে কর্তব্যরত চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানন্তর করে। তবে এ্যাম্বুলেন্স চালক বকুল টিএইচও‘র অজুহাত দেখিয়ে প্রায় ঘন্টা বিলম্ব করে। যার কারণে আমার ভাই চিকিৎসাবিহীন মারা গেছে।

শৈলকুপা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স

পৌর সভার ৮নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শওকত আলী বলেন, বকুল সরকারি ড্রাইভার হলেও নানা অজুহাত দেখিয়ে বিভিন্ন সময় তার ছেলেকে দিয়ে গাড়ি চালায়। এর আগেও ওর বিরুদ্ধে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। সরকারি ডিউটি ফাঁকি, রোগীর স্বজনদের সাথে খারাপ আচরণ, এলাকার প্রভাব দেখিয়ে এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে ব্যবসা সহ কুকর্মে লিপ্ত আছে বকুল ড্রাইভার।

শৈলকুপা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জাহিদুন্নবি কালু বলেন, জামালের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুতে বড়ই ব্যথিত আমি। তবে বকুল ড্রাইভারের এমন নেক্কারজনক সিদ্ধান্ত, স্বেচ্ছাচারিতা ও হীনমানসিকতায় আমি বির্ব্রত। তার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ আগেও শুনেছি। যদি এ ঘটনার অভিযোগ সত্যি হয় আইননানুগভাবে তাকে কঠোর শাস্তি প্রদান করা সহ চাকুরি থেকে অপসারণের দাবি জানান।

অভিযুক্ত বকুল ড্রাইভার মুঠোফোনে অভিযোগ স্বীকার করে জানান, করোনা নমুনা সংগ্রহের জন্য আগে থেকে টিএইচও স্যার এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখতে বলেছিল। এছাড়া ওই এ্যাম্বুলেন্সে রোগী উঠাতেও তিনি নিষেধ করেন।  তাই আমি ৫ মিনিট দেরি করেছি। তবে রোগীর স্বজনরা যে ১ঘন্টা দেরির কথা বলছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রাশেদ আল মামুন জানান, আমার দোহাই দিয়ে ১ ঘন্টা দেরি করে বকুল ড্রাইভার জরুরি সেবা ব্যহত করে যে মিথ্যাচার করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ড্রাইভারের এমন মিথ্যাচারে আমি বিব্ররত। ওর এমন মিথ্যাচারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও তিনি মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করেন।