দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধন করে নির্বাচন কমিশন প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা ছেড়ে দিলে তা ‘আত্মঘাতী’ হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নিজেরা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেরাই নিজেদেরকে একেবারে আমি যেটা বলব হিজরায় পরিণত করছেন। হিজরা- না পুরুষ না মেয়ে।
শুক্রবার নয়া পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক দোয়া মাহফিলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রিজভীর এমন মন্তব্য আসে। বিরোধিতা ও বিতর্কের মধ্যেই স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন স্তর ও পদ-পদবির নাম পরিবর্তনসহ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের বিশেষ অংশ নিয়ে নতুন আইনের খসড়ায় বৃহস্পতিবার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
১৯৭২ সালের গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ৯১ই ধারার ১ ও ২ উপধারায় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী কোনো প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে, তা তদন্ত করে দেখা এবং তদন্তে তা প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার সরাসরি যে ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের হাতে আছে, সেটি বাদ দেওয়ার কথাও ওই খসড়ায় এসেছে বলে একজন নির্বাচন কমিশনার গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
এর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সার্বভৌম সত্তা। সংবিধান তাদেরকে (ইসি) দায়িত্ব দিয়েছে এই স্বাধীনতার, তাদের এটা নিজস্ব স্বাধীনতা। কেউ কি নিজের স্বাধীনতা খর্ব করে? আজকে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছায় সমর্পণ করেছেন নিজেদের স্বাধীনতা সরকারের কাছে।
নির্বাচন কমিশনের এই ক্ষমতাকে এখন সরকার নিজের হাতে রাখবে এমন মন্তব্য করে যুগ্ম মহাসচিব বলেন, প্রয়োজন হলে যদি কথা কেউ না শোনে, তাহলে বলবে- তুমি বাদ। ওই আইন এমন হবে, শেখ হাসিনা হবেন অখ- ক্ষমতার অধিকারী। বিএনপি কথা শুনছেন না? ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ, ওমুক দল কথা শুনবে না তো ওর রেজিস্ট্রেশন বাদ।”
আরও পড়ুন-বন্ধু আমার মন বুঝলো না
ছয় দফা বঙ্গবন্ধুর নিজের চিন্তার ফসল: প্রধানমন্ত্রী
টিআইবিও যে বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেছে, সে প্রসঙ্গ টেনে রিজভী বলেন, “তার মানে বোঝেন, বাকশাল কীভাবে ক্রমান্বয়ে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। বাকশাল মানে কী? বাকশাল মানে একদলীয় শাসন, বাকশাল মানে অন্যের কোনো কথা বলার স্বাধীনতা থাকবে না, গণমাধ্যম থাকবে না, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা থাকবে না। কেউ যদি সরকারের সমালোচনা করে তাহলে জননিরাপত্তা আইনে তাকে আটকে রাখা হবে।”
নির্বাচন কমিশনের অধিকারকে ‘ছিনতাই করে’ সরকার তা ‘নিজের হাতে’ নিতে চাইছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।