রবিবার, ২৫ মে, ২০২৫
Home Blog Page 11

শেখ হাসিনাসহ পরিবারের ১০ জনের এনআইডি ‘লক’

0
ছবি সংগৃহীত

দ্রোহ অনলাইন ডেস্ক

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার রোন শেখ রেহানা সিদ্দিকসহ তার পরিবারে ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) স্থগিত (লক) করেছে নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগ। গত ১৬ ফেব্রæয়ারি তাদের পরিচয়পত্রের কার্যকারিতা স্থগিত করা হলেও এক মাস বিলম্বে সোমবার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

এনআইডি লকড হওয়ার কারণে এখন আর কার্ডটি ব্যবহার করা যাবে না। কেননা, এখন আর তাদের এনআইডি ভেরিফাই করার সুযোগ থাকবে না। তবে এনআইডি লকড থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ভোট দিতে বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

শেখ হাসিনা ছাড়াও যাদের এনআইডি স্থগিত করা হয়েছে, তারা হলেন- সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানা সিদ্দিক, ভাগ্নি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক, ভাগ্নে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক। এছাড়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক ও তার স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক মেয়ে বুশরা সিদ্দিক।

আরও পড়ুন – কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

ইসি কর্মকর্তারা বলেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ এস এম হুমায়ুন কবীরের মৌখিক নির্দেশনায় মাস দুয়েক আগে তাদের এনআইডি ‘লক’ করা হয়েছে। হুমায়ুন কবীর বর্তমানে এনআইডি নিবন্ধন নিয়ে অস্ট্রেলিয়া সফরে রয়েছেন।

আরও পড়ুন – খোকসার বিএনপি নেতারা আধিপত্য বিস্তারে বাকযুদ্ধে সক্রিয়

এর আগে দুদকের করা আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১১ মার্চ শেখ হাসিনা, তার পরিবার ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান এবং আওয়ামী লীগের নামে ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দেন ঢাকার আদালত।

কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

ঝিনাইদহের শৈলকূপার দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের প্রতিবাদে কলেজের শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

সোমবার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে খুলনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কের শেখপাড়া বাজার এলাকায় শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

এ সময় ঝিনাইদহ-কুষ্টিয়া মহাসড়কের দুই পাশে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়ে। ফলে মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে দুপুর সাড়ে ১২টায় যৌক্তিক সমাধানের প্রতিশ্রæতিতে মহাসড়ক ছেড়ে দেন তারা।

স্থানীয়রা জানায়, শেখপাড়া বাজারের পাশে দুঃখী মাহমুদ ডিগ্রি কলেজ মাঠের ২৭ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। কয়েকদিন আগে কলেজ মাঠের জমির মালিকানা দাবি করে স্থাপনা নির্মাণ শুরু হয়। ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার শিক্ষার্থীরা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।

আরও পড়ুন – খোকসার বিএনপি নেতারা আধিপত্য বিস্তারে বাকযুদ্ধে সক্রিয়

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণের ফলে আমরা খেলাধুলা করতে পারছি না। কলেজের সৌন্দর্য্য নষ্ট হচ্ছে। কলেজ মাঠে স্থাপনা নির্মাণ আমরা মানব না। আমরা সুষ্ঠু সমাধান চাই। তা না হলে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।

আরও পড়ুন – অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে

শেখপাড়া দুঃখী মাহমুদ কলেজের অধ্যক্ষ মো. আসাদুর রহমান জানান, কলেজ মাঠের জমি এ্যাওয়াজ (বদল) করা। এ্যাওয়াজকৃত জমিতে স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ বিষয় নিয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে। আশা করি সুন্দর সমাধান হয়ে যাবে।

শৈলকূপা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স্নিগ্ধা দাস বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ ও সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) পাঠানো হয়েছিল। কলেজের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একটা জটিলতা রয়েছে। আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ ও জমির মালিকের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা শুরু করেছি। দ্রæত বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে বলে আশা করি।

খোকসার বিএনপি নেতারা আধিপত্য বিস্তারে বাকযুদ্ধে সক্রিয়

0

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলা বিএনপির নেতাদের পাল্টা-পাল্টি শো ডাউন ও সংবাদ সম্মেলনে দেওয়া উষ্কানী মূলক বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরেছে। এসব বক্তব্যে ৫ আগস্ট থানায় আগুন দেওয়ার সাথে জড়িত নেতাদের নাম প্রকাশসহ মামলার ভয় দেখিয়ে চাঁদাবাজি এবং আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় দেওয়া অভিযোগ উঠে এসেছে। দলের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে নেতাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি পর্যন্ত বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দলীয় কর্মকান্ডের স্থবিরতা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা।

জানা গেছে, খোকসা উপজেলা বিএনপি দীর্ঘ দিন নেতৃত্ব শুন্যতায় ভুগছিলো। ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর রাতারাতি চেহারা পাল্টে দলটির নেতা হওয়া দৌড়ে সামিল হন কয়েক ডজন নবীন প্রবীন। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে স্থানীয় নেতারা তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে যান। ইতোমধ্যে ৫ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খানকে আহবায়ক করে ৩১ সদস্যের উপজেলা বিএনপির কমিটি ঘোষনা হয়। এর পর থেকে নেতাদের মধ্যে মুখ দেখা দেখি বন্ধ হয়ে গেছে। এ সুযোগ কাজে লাগাতে মরিয়া হয়ে ওঠেছেন আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ের নেতা কর্মীরা। তারা দ্বিধাবিভক্ত বিএনপি নেতাদের উপর ভড় করেছেন। অনেক আওয়ামী লীগের নেতা কর্মী বিএনপি নেতাদের শক্তির মহড়ায় সাথী হয়েছেন। যারা আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের প্রথম সাড়ির নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলেছেন। তারাই আবার বিএনপির নেতাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন। দলীয় ¯েøাগান দিতেও দেখা যাচ্ছে।

উপজেলা বিএনপির নেতাদের বিরোধের প্রভাব পরেছে খোকসা, ওসমানপুর, বেতবাড়ীয়াসহ ৯ ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার নেতা কর্মীদের মধ্যে। আওয়ামী সরকারের পতনের ৭ মাসের মাথায় দ্বিধাবিক্ত বিএনপি নেতা কর্মীরা নিজেদের দলীয় প্রতিপক্ষের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ভাংচুর করেছে। ক্ষেতের ফসল লুট করে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনায় থানায় দুই একটি মামলাও হয়েছে।

খোকসা ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি কাউসারুƒল আলম সৈউদ ও যুবদল নেতা রাকিবুল হাসান রাজিবের লোকদের মধ্যে কমপক্ষে তিনবার সংঘর্ষ ও হামলা ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। দুই নেতাই আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থেকেছেন।

ওসমানপুর ইউনিয়নে বিএনপির নেতাদের একাধিক গ্রæপ রয়েছে। এই ইউনিয়নে ৭ মাসে কমপক্ষে ৪টি হামলা পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটেছে। সবপক্ষই গুলি বন্দুক ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ইউনিয়নের বাসিন্দার ছাত্রদলের সাবেক নেতা জুবায়ের রহমান জ্যাকি, তার বাবা জিল্লুর রহমান ও তার চাচা শহিদুল ইসলাম শহিদ মেম্বরকে যৌথ বাহিনী আটক করে। ১৫ এপ্রিল ওই ছাত্রনেতা ও তার বাবা জামিনে মুক্তিপান। উপজেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব আনিস উজ জামান স্বপনের অংশ কারামুক্তদের নিয়ে শো ডাউন করেন। এ ঘটানার পর দিনে ১৬ এপ্রিল বর্তমান আহবায়ক আলাউদ্দিন খানের নেতৃত্বের অংশের নেতারা ওই ছাত্রদল নেতা কে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব সাবেক অধ্যক্ষ আনিস উজ জামানের বিরুদ্ধে কৃষকের সার ও বীজ আত্মসাতের অভিযেগ করা হয়।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাফিজ আহমেদ রাজু এক সংবাদ সমম্মেলনে ৫ আগস্টে খোকসা থানায় হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনায় নিজের দলের সদস্য সচিব আনিস উজ জামানের ছোট ভাই শরিফ উজ জামান শরিফের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন। এই নেতা তার বক্তব্যে বলেন, বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষকে মামলার ভয় দেখিয়ে এখনো চাঁদাবাজির করা হচ্ছে। কিছু দেউলিয়া নেতা চাঁদাবাজসহ আওয়ামী লীগের নেতাদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছেন। ওসমানপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সহসভাপতিকে তারেক জিয়ার একটি ভাস্যুয়াল সভায় আসন করে দেওয়ার অভিযোগ করেন খোকসা উপজেলা বিএনপির আহবায়কের বিরুদ্ধে। তার এই বক্তব্যটিও ভাইরাল হয়েছে।

ওসমানপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক নেতা লুৎফর রহমান বলেন, যার কমপরছে, সেই সংবাদ সম্মেলন করছেন। সেই, উল্টা পাল্টা বক্তব্য দিচ্ছেন। দলীয় নেতারদের মধ্যে আত্ম কেন্দ্রিকতার অভিযোগ করেন তিনি।

এই নেতাসহ একাধিক নেতা অভিযোগ করে বলেন, দল ক্ষতায় আসার আগেই স্কুল কলেজের সভাপতি, কৃষকের সার বীজ ভাগ নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পরেছেন দলটির নেতারা। দলীয় কাজের মধ্যে আওয়ামী লীগের লোকনিয়ে শক্তির মহড়া দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে দলে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এই নেতারা। তারা দলের উচ্চ পর্যায়ের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক নাফিজ আহমেদ খান রাজু তার নিজের দেওয়া বক্তব্য সমর্থন জানিয়ে বলেন, যারা বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের হয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প করেছেন, বিএনপি নিধনে অগ্রণী ভুমিকা রেখেছেন তাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছেন অনেক নেতা। এ ছাড়া দলীয় একাধিক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজ সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ করেন।

তিনি আরও জানান, দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে তিনি শান্তি সমাবেশের উদ্যোগ নিয়েছেন। দলীয় শৃঙ্খলা ফেরাতে দলের ভাই চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার হস্তক্ষেপও কামনা করে তিনি।

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব সাবেক অধ্যক্ষ আনিস উজ জামান স্বপন বলেন, নেতাদের কথাবার্তার মাধ্যমেও দলের ক্ষতি হয়। ক্ষোভ প্রকাশের একটা ভাষা আছে। বিভিন্ন নেতার করা সংবাদ সম্মেলনকে অসার সংবাদ সম্মেলন আখ্যা দেন তিনি। এ ব্যাপারে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে বিভিন্ন নেতাদের সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য শুনেছেন বলে জানান।

আরও পড়ুন – অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে

উপজেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান বলেন, সন্ত্রাস চাঁবাজির বিরুদ্ধে বিএনপির আহবায়ক কমিটি শক্ত অবস্থানে। যে সন্ত্রাসীকে যৌথ বাহিনী গ্রেফতার করলো। সেই সন্ত্রাসীদের পক্ষে বিএনপির সদস্য সচিব অবস্থান নিয়ে শো ডাউন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি জেলা কমিটির নেতাদের অবহিত করেছেন। তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার অভিযোগের প্রমান চান তিনি।

আরও পড়ুন – বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর ভবনে তালা ঝুলিয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

তিনি আরও জানান, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পর্যায়ের সন্মেলন করা নিয়ে তার কর্মীরা দিনরাত কাজ করে চলেছে। এ সময় একটি চক্র দলের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টির পায়তারা করছে।

অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে

0

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি

আরশাদ আলীর দুই চোখই অন্ধ। ৬ বছে বয়সে গুটি বসন্ত রোগে চোখের আলো হারান তিনি। অন্ধত্ব রুখতে পারেনি আরশাদ আলীকে। জীবনযাপনে সাময়িক প্রতিবন্ধকতা থাকলেও দৃষ্টিহীনতা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি।

মানুষের মতোই নিত্যদিন স্বাভাবিক কাজকর্ম করেন অদম্য আরশাদ আলী। গবাদি পশুর জন্য ঘাস কাটা, পরিবারের জন্য বাজার সদাই কেনাকাটা, সংসারের খুঁটিনাটি কাজকর্ম ও ব্যক্তিগত কাজ স্বাভাবিকভাবেই করে যাচ্ছেন তিনি। দুই চোখে দেখতে না পারলেও অন্তরের আলো দিয়েই তিনি পথ চলেন প্রতিনিয়ত।

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হলিধানি ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে আরশাদ আলীর। এক ছেলে ও এক মেয়ের পিতা।

আরশাদ আলী জানান, ১৯৭২ সালে তার বয়স যখন ছয় বছর তখন পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে গুটি বসন্ত রোগ। মহামারী গ্রামের অন্তত ১৮-২০ জন মারা যান। ওই বছরই গুটি বসন্তে আক্রান্ত হন তিনিও। সঠিক চিকিৎসার অভাবে গুটি বসন্তেুর প্রভাবে তার দুই চোখ অন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকেই অন্ধত্ব নিয়ে তার পথ চলা।

আরও পড়ুন – বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর ভবনে তালা ঝুলিয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

মা আইজান নেছা জানান, ছোটবেলায় চোখ হারানোর পরে আরশাদ আলী অনেক কষ্টে বড় হয়েছে। প্রতিনিয়ত তিনি চোট পেতেন, হয়েছেন দুর্ঘটনার শিকার। কিন্তু বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এক বিস্ময়কর মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে তার সন্তান। এখন নিজের ও সংসারের সকল কাজ নিজ হাতে করেন।

আরও পড়ুন – খোকসায় ইয়াবাসহ এক মাদক বিক্রেতা আটক

হলিধানী ইউনিয়নের মেম্বর সাদ আহম্মেদ জানান, প্রতিদিন সকালে গবাদি পশুর ঘাস নিজ হাতে কাটেন আরশাদ। ঘাস সংগ্রহ করতে তিনি চলে যান বাড়ি থেকে অনেক দুরের মাঠে। আবার কাজ শেষে একাই ফিরে আসেন। কাজ করতে গিয়ে তিনি কারো সহযোগিতা নেন না। সম্পূর্ণ অনুমানের উপরে নির্ভর করে তিনি পথ চলেন।

বকেয়া বেতনের দাবিতে পৌর ভবনে তালা ঝুলিয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতি

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

৪৩ মাসের বকেয়া বেতন প্রায় আট কোটি টাকা পরিশোধসহ কয়েক দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ,
পৌর ভবনের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন কুমারখালী পৌরসভার কর্মচারীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) সকাল ১০ টা থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন তারা। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অন্তত একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা।

এ দিকে ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা। তারা সেবা না পেয়ে পৌররসভায় এসে ফিরে যাচ্ছেন।

এসময় কুমারখালী পৌর কর্মচারী সংসদের সভাপতি ও পৌরসভার প্রধান সহকারী রাজু আহমেদ বলেন, ৫২ জন কর্মচারীর ৪৩ মাসের প্রায় আট কোটি টাকা বেতন বকেয়া। দীর্ঘদিন ধরে তা পরিশোধের কোনো উদ্যোগ নেই। অথচ সম্প্রতি বদলিকৃত প্রকৌশলী ওয়াহিদুজ্জামানের প্রায় ৬ লাখ ৭০ হাজার টাকা গ্র্যাচুইটি ভাতা পরিশোধের জন্য চেক প্রস্তুত করা হয়েছে। পৌরসভার ইতিহাসে কোনোদিন কারো গ্র্যাচুইটি ভাতা দেওয়ার ঘটনা নেই। এছাড়াও বেতন-ভাতা পরিশোধে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বৈষম্য দূরীকরণ এবং সম্প্রতি বদলিকৃত এক প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা বন্ধের
দাবিতে আমরা প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে কর্মবিরতি পালন করছি।

তার ভাষ্য, বদলিকৃত প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা বন্ধ এবং আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একমাসের বেতন পরিশোধ করা না হলে কঠোর আন্দোলন করা হবে।

বাংলাদেশ পৌর কর্মচারী সংসদের সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান টুটুল বলেন, বছরের পর বছর কর্মচারীদের বেতন বকেয়া। তারা মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে। অথচ কর্মকর্তারা বেতন ভাতা নিয়ে উৎসব করছেন। সুতরাং একই কার্যালয়ে দুই নিয়ম চলতে পারেনা। এই বৈষম্য দুর করে আমরা দ্রæত বেতন পরিশোধের দাবি জানাচ্ছি।

জানা গেছে, ইতোপূর্বে কুমারখালী পৌরসভায় কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারীর গ্র্যাচুইটি ভাতা পরিশোধ করা হয়নি। অথচ হঠাৎ বদলিকৃত এক প্রকৌশলীর গ্র্যাচুইটি ভাতা প্রদানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই কাজের সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে পৌরসভার হিসাবরক্ষক ও সহকারী প্রকৌশলীকে বের করে দিয়ে কক্ষে তালা লাগিয়ে দেন কর্মচারী। সরেজমিন গিয়ে এই পৌরসভার প্রধান ফটক ও দুই কর্মকর্তার কার্যালয়ে তালা ঝুলতে দেখা গেছে।

জানতে চাইলে ফোনে হিসাবরক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় চেক প্রস্তুত করা হয়েছে। কর্মচারীরা কক্ষে তালা লাগিয়েছে। সেজন্য বাড়িতে চলে এসেছি।

আরও পড়ুন – খোকসায় ইয়াবাসহ এক মাদক বিক্রেতা আটক

এ দিন পৌরসভায় সেবা নিতে এসেছিলেন ৩ নম্বর ওয়ার্ড এলংগী এলাকার বাসিন্দা ফারিহা ফাতেমা রোজা। তিনি বলেন, বাচ্চার পাসপোর্ট করব। সেজন্য রোববার জন্মনিবন্ধন ডিজিটাল করতে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদি দিয়ে গিছিলাম। সোমবার নিতে এসে দেখি তালা ঝুলছে। কাজ বন্ধ রয়েছে। তার ভাষ্য, অনেকেই সেবা নিতে এসে ফিরে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন – বিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ

অনেক বছর আগে থেকেই কর্মচারীদের বেতন বকেয়া রয়েছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম। তিনি বলেন, কর্মবিরতির বিষয়টি জানতে পেরেছি। সকলের সঙ্গে আলোচনা করে দ্রæত সমস্যার সমাধান করা হবে।

খোকসায় ইয়াবাসহ এক মাদক বিক্রেতা আটক

0

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার দিনগত রাত ৮টার দিকে উপজেলার কাদিরপুর থেকে মাদক বিক্রেতা নাদিম (২৭) কে আটক করা হয়। তার শরীর তল্লাসী করে ১৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। নাদিম কাদিরপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের ছেলে।

আরও পড়ুন – বিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ

থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম জানান, ইয়াবাসহ আটক নাদিমের বিরুদ্ধে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনে মামলার প্রস্তুতি চলছে। মাদকের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

আরও পড়ুন – মাদকবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বাহিনী

বিদ্যালয়ের গাছে ঝুলছিল নৈশপ্রহরীর মরদেহ

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে একটি বিদ্যালয়ের গাছ থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

রবিবার (২০ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার নন্দলালপুর ইউনিয়নের সোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একটি আমগাছ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ওই যুবকের নাম মো. স্বাধীন (২২)। নন্দলালপুর এলাকার ভ্যানচালক আকুল হোসেনের ছেলে। মৃত যুবক সোন্দাহ মাধ্যমিক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে এটি হত্যা, নাকি আত্মহত্যা বা কী কারণে এমন ঘটনা ঘটেছে তা জানা যায়নি।

পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ১০টার দিকে ভ্যানে করে স্বাধীনকে বিদ্যালয়ে দিয়ে আসেন তার বাবা আকুল হোসেন। এরপর রবিবার সকালে বিদ্যালয়ে একটি আমগাছে রশির সঙ্গে স্বাধীনকে ঝুলতে দেখে পুলিশ ও স্বজনদের খবর দেয় স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

পুলিশ আরও জানায়, বিদ্যালয়ের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে রাত ১২টা ৭ মিনিট থেকে হাতে একটি রশি নিয়ে বার বার ছোটাছুটি করছে স্বাধীন। তবে ঘটনাস্থলটিতে কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি। তার স্মার্টফোনটি পাওয়া গেছে নিজ বাড়িতে।

এ বিষয়ে স্বাধীনের বাবা আকুল হোসেন বলেন, রাত ১০টার দিকে ভ্যানে করে আমি ছেলেকে স্কুলে দিয়ে এসেছি। আর সকালে খবর পেয়ে গিয়ে দেখি আমগাছে ঝুলছে মরদেহ। কিন্তু কেন কীভাবে এমন হয়েছে তা জানি না। ওর সঙ্গে বাড়িতে বা বাড়ির বাইরের কারো সঙ্গে কোনো ঝামেলা ছিল না।

আরও পড়ুন – মাদকবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বাহিনী

সোন্দাহ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. শরিফুল ইসলাম ফোনে বলেন, স্বাধীন নিয়মিত দায়িত্ব পালন করত। কারো সঙ্গে ঝামেলা ছিল না। খবর পেয়ে সকালে বিদ্যালয়ে গিয়ে মরদেহ পেয়েছি। তবে কোনো কারণ জানা যায়নি।

আরও পড়ুন – জামায়াতে ইসলামীর উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

সিসিটিভি ফুটেজে রাত ১২টা ৭ মিনিটের দিকে হাতে রশি নিয়ে স্বাধীনকে ছুটাছুটি করতে দেখা গেছে বলে জানিয়েছেন কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সোলায়মান শেখ। তিনি বলেন, খবর পেয়ে বিদ্যালয়ের একটি আমগাছ থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনার কোনো কারণ জানা যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে পরে বিস্তারিত জানা যাবে।

মাদকবিরোধী অভিযানে বাধার মুখে ম্যাজিস্ট্রেটসহ পুলিশ বাহিনী

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় গিয়ে বাধা মুখে পরেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেনসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের ভক্ত অনুসারীরা এ ঘটনা ঘটিয়েছেন। অবস্থা বেগতিক হওয়ায় শেষ পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা না করেই সেখান থেকে চলে আসতে বাধ্য হন তারা।

রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরের দিকে ভেড়ামারার সাতবাড়ীয়া বিত্তিপাড়া এলাকায় ঘোড়াশাহ’র মাজারে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, ভেড়ামারা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনায় ঘোড়াশাহ মাজারে যান। অভিযান টিমে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযান শুরু করতে গেলে সেখানে বাধা প্রদান করেন মাজারে উপস্থিত ভক্ত অনুসারীরা। এসময় তারা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ার হোসেন ও অভিযান টিমের সদস্যদের হটিয়ে দেন। পরে তোপের মুখে পড়ে অভিযান পরিচালনা না করেই তারা ফিরে আসতে বাধ্য হন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন এসিল্যান্ডসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। মাজারের লোকজনদের বাধার মুখে ফিরে আসে তারা। বিষয়টি তদন্তু করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের লোকজন দেখেই উষ্মাপ্রকাশ করেন জটাধারী লাল পোশাকের কিছু উচ্ছৃঙ্খল ভক্ত-আশেকান। প্রশাসন কাজ শুরুর আগেই তারা আক্রমণাত্মক আচরণ শুরু করেন। বাঁধার মুখে শেষ পর্যন্ত অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ার আগেই প্রশাসনের লোকজন ফিরে আসেন। এ সময়ও তাদের পিছু পিছু ধাওয়া করেন সেখানকার লোকজন।

আরও পড়ুন – যৌথ অভিযানে ১৪টি দেশীয় পাখি উদ্ধার

ঘটনার শিকার সহকারী কমিশনার (ভূমি) আনোয়ার হোসেন জানান, মাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে গেলে মাজারের লোকজন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। যে কারণে তারা অভিযান পরিচালনা করতে না পেরে সেখান থেকে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন।

আরও পড়ুন – খোকসার একই ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন

তদন্ত সাপেক্ষে কারা এই উচ্ছৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা বলা যাবে। আপাতত এ বিষয়ে আর কিছু বলা যাচ্ছে না।

এবিষয়ে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান বলেন, আমিও শুনেছি, সেখানে এ ঘটনা ঘটেছে। এসিল্যান্ড গিয়েছিল, সেখানে গাঁজা সেবনের অভিযোগ ছিল। এ ঘটনায় আমরা রেগুলার মামলা করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

জামায়াতে ইসলামীর উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত

0

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ায় জামায়াতের উলামা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুষ্টিয়া উলামা বিভাগের আয়োজনে কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী উলামা বিভাগের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল, ঢাকা তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল ড.মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী।

কুষ্টিয়া জেলা উলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা জুলফিকার আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতের যশোর কুষ্টিয়া অঞ্চলের টিম সদস্য অধ্যক্ষ খন্দকার এ কে এম আলী মুহসিন।

জামায়াতে ইসলামীর উলামা বিভাগের সেক্রেটারি ইয়াসির আরাফাতের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক মাওলানা আবুল হাশেম।

বিশেষ আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট আলেমেদ্বীন তাফসীরকারক হাফেজ মাওলানা মুফতি আমির হামজা।

অন্যান্যের মধ্যে মজলিসেস কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুল লতিফ খান, ইসলামী আন্দোলনের কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি মাও আহম্মদ আলী, জামায়াতের কুষ্টিয়া জেলা সেক্রেটারি অধ্যাপক সুজা উদ্দিন জোয়াদ্দার, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হুসাইন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মোঃ আব্দুল গফুর, তালিমুল কোরআন এর জেলা সভাপতি ড. মাওলানা শহিদুল বারী, অধ্যক্ষ মাওলানা তারিকুল ইসলাম, মসজিদ মিশনের জেলা সভাপতি হাফেজ রফিক উদ্দিন আহমেদ, ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি আহমদ আলী, জেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি খাজা উদ্দিনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

আরও পড়ুন –  খোকসার একই ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন

সম্মেলনের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাওলানা মইনুল হক আহসানী।

আরও পড়ুন – খোকসার একই ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন

উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের খোকসা কুমারখালীর নমীনী মোঃ আফজাল হোসেন, দৌলতপুর আসনের নমীনী মাওঃ বেলাল উদ্দিন, উলামা বিভাগের নেতা মাওঃ আব্দুল আলিম, হাফেজ মাওঃ আক্তারুজ্জামান, হাফেজ মাওঃ ওসমান গনি, মাওঃ মতিউর রহমান নাটোরী, মাওঃ রুহুল আমিন, মাওঃ আনিসুর রহমান শহীদ, হাফেজ মাওঃ হারুুন অর রশীদ, মাওঃ হাবিবুর রহমান, মাজহারুল ইসলাম মোমিন, এনামুল হক, হাফেজ মাওঃ সেলিম রেজা প্রমুখ।

 খোকসার একই ব্যক্তি দুই পদে চাকরি করছেন

0

স্টাফ রিপোর্টার

একই ব্যক্তি মাধ্যমিক শিক্ষার উন্নয়ন প্রকল্প ও একটি মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে চাকরি করে চলেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগসাযোসে প্রতি মাসে দুই প্রতিষ্ঠান থেকে মোটা অংকের সরকারী বেতন ভাতাসহ সব সুবিধা ভোগ করছেন। দুই প্রতিষ্ঠানের দূরত্ব শত কিলোমিটার হলেও অধ্যক্ষ এবং মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বললেন তিনি নিয়মিত অফিস করেন।

কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চাঁদট এম.বি. মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার আরবি প্রভাষক মোঃ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে জালিয়াতি করে দুই প্রতিষ্ঠানে চাকরি ও বেতন ভাতা গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। তিনি চাঁদট গ্রামের ভাদু বিশ্বাসের ছেলে। এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগে পেয়ে ১ ফেব্রæয়ারি ২০২২ সালে তিনি ওই মাদ্রাসায় আরবি প্রভাষক পদে যোগদান করেন। এই চাকুরিতে তিনি গাজীপুরের ঠিকানার জাতীয় পরিচয় ব্যবহার করেছেন। একই ব্যক্তি (মোঃ রেজাউল করিম) মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এসইএসডি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীন ২০১২ সালে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার পদে যোগদান করেন। ১৫ জুন ২০১৫ সাল থেকে তিনি (মোঃ রেজাউল করিম) মাগুড়ার মহম্মদপুর উপজেলায় কর্মরত রয়েছেন। সরকারী প্রকল্পের চাকুরিতে ব্যবহার করেছেন খোকসার চাঁদট গ্রামের ঠিকানার জাতীয় পরিচয় পত্র। খোকসার চাঁদট গ্রাম থেকে মাগুড়ার মহম্মদপুরের দূরত্ব ১০০ কিলোমিটারেরও বেশী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই মাদ্রাসার একাধিক শিক্ষক জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি বাবুল আকতারের লোক হওয়ায় রেজাউল করিম মাসের পর মাস মাদ্রাসায় অনুপস্থিত থেকে বেতন নিয়েছেন। তিনি ২০২২ সাল থেকে চলতি ২০২৫ সালের ফেব্রæয়ারি মাসের শেষ এমপিওতেও বেতন তুলেছে।

মাগুড়ারর মহম্মদপুর উপজেরা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, একাডেমিক সুপার ভাইজার রেজাউল করিম চলতি বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত সরকারী বেতন ভাতা নিয়েছেন। গত একমাস যাবত তিনি অপারেশন জনিত কারণে ছুটি নিয়েছেন। তবে মাঝে মধ্যে অফিস করছেন।

দুই পদে চাকুরীরত রেজাউল করিমের সাথে কথা বলা হলে তিনি স্বীকার করেন দুই পদে চাকুরি করার কথা। তবে মাদ্রাসা থেকে তিনি বেতন উত্তোলন করেননি বলে দাবিও করেন। তিনি আরও জানান, মাধ্যমিক অধিদপ্তরের যে প্রকল্পে চাকুরি করতেন সে প্রকল্পটি ইতোমধ্যে মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ ছাড়া একাডেমিক সুপারভাইজার পদের চাকুরি থেকে তিনি যে বেতন গ্রহন করেছেন তা সরকারী তহবিলে ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। তিনি টাকা ফেরত দেবেন।

চাঁদট এম.বি.মদিনাতুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মহম্মদ শহিদুজ্জামান মুঠো ফোনে বলেন, আরবি প্রভাষক রেজাউল করিম এনটিআরসির মাধ্যমে নিয়োগ পেছেন। তিনি যোগদানের পর থেকে নিয়োমিত ক্লাস করছেন। সাথে বেতন ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন।

মাগুড়ার মহম্মদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুহম্মদ আনোয়ার হোসেনের সাথে ফোনে কথা বলা হলে তিনি জানান, একাডেমিক সুপারভাইজার রেজাউল করিম নিয়োমিত চাকরি করে আসছেন। সরকারী বেতন ভাতার সুবিধা পাচ্ছেন। পাইলস অপারেশনের কারনে গত একমাস ছুটিতে কাটিয়েছেন। তবে মাঝে মাঝে অফিস করছেন।

আরও পড়ুন – যৌথ অভিযানে ১৪টি দেশীয় পাখি উদ্ধার

খোকসা উপজেলার ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অভিযোগ সম্পর্কে তিনি শুনেছেন। মাদ্রাসা গুলো তাদের নিয়ন্ত্রনের বাইরে। এখানে তাদের কিছু করার থাকে না। তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মাকর্তা ওই শিক্ষককে ডেকেছিলেন। সেখানে কি কথা হয়েছে তা জানা নেই।

আরও পড়ুন – তিন ভারতীয় চোরাকারবারি আটক, মাদক উদ্ধার

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রদীপ্ত রায় দ্বিপন বলেন, অভিযোগ পাওয়া যায়নি। তবে জালিয়াতির ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। মাগুড়ার সাথে সমন্বয় করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

ঝিনাইদহে সড়ক দুর্ঘনায় কৃষক নিহত

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনরায় তমছের আলী মালিথা (৬০) নামে এক কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের ফকির চাঁদ মালিথার ছেলে। শনিবার...

সরকারী জমিতে ঘর নির্মাণের অভিযোগ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে আধাপাকা ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালী রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের জোতভালুকা-নগরকয়া পানি প্রবাহ...

ব্যবসায়ীর কাছে ফোনে চাঁদা দাবি, সিমের মালিক আটক

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে এক কাঠ ব্যবসায়ীর কাছে ফোনে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চাঁদা না দিলে তাকে গুলি করে হত্যারও...

কোটি টাকার স্বর্ণসহ তুলে নেওয়া সিন্দুকের সন্ধ্যান মিলেছে, তবে………….

স্টাফ রিপোর্টার কুষ্টিয়ার খোকসার প্রধান বাজারের একটি সোনার দোকান থেকে কোটি টাকার সোনা ও রুপাসহ তুলে নিয়ে যাওয়া সিন্দুকটি ২৪ ঘন্টা পর পাওয়া গেছে বলে...

সংস্কার কমিশন বাতিল দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে হেফাজতে ইসলাম। কুষ্টিয়া জেলা হেফাজতে ইসলামের উদ্যোগে শুক্রবার (২৩ মে) বিকালে বড় বাজার থেকে বিক্ষোভ...