কুমারখালীতে বিনামূল্যের ঈদ পোষাকের দোকান

0
196

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

করোনা কালে কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের মধ্যে বিনা মূল্য ঈদ পোষাক বিতরণ করে নজীর স্থাপন করেছেন কুমারখালীর এক উদীয়মান তরুন পোষাক ব্যবসায়ী।

গত দু’বছর ধরে অতিমারী করোনায় খেটে খাওয়া দিনমুজুরসহ নি¤œ আয়ের মানুষ পরিবারের জন্য দুই বেলা দু’মুঠো খাবার যোগান দেওয়ায় কষ্ট সাধ্য হয়ে পরেছে। তাদের কাছে ঈদের পোশষাক স্বপ্নের মত।

এই অতিমারী প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে গরিব-দুখীদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে ভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন তরুন ব্যবসায়ী শাকিল আহমেদ তিয়াস। তিনি কুমারখালী ইয়াং কালেকশন, আর এন ফার্নিচার ও রাফা পাঞ্জাবী গার্মেন্টসের স্বত্তাধিকারী।

কুমারখালী গণমোড় সংলগ্ন কৃষি ব্যাংকের নিচে মোবারক মার্কেটে তিনি চালু করেছেন বিনা মূল্যের ঈদ পোষাকের এই দোকান। গত ৭ মে শুক্রবার ‘ঈদ আনন্দ, মানুষের প্রতি ভালবাসা’ নামের এই দোকানটি উদ্বোধন করেছেন শাকিল আহমেদ তিয়াসের মা সুরাইয়া পারভীন।

সরেজমিন দোকানে গিয়ে দেখা যায়, দোকানটিতে শিশু থেকে সব বয়সী পুরুষ মানুষের জন্য নতুন জামা, গেঞ্জি, পাঞ্জাবিসহ বিভিন্ন ধরণের পোশাক রাখা হয়েছে। সেখান থেকে একজন নিন্ম আয়ের দরিদ্র ব্যক্তি পছন্দ মত মাত্র একটি পোষাক টাকা ছাড়াই কিনতে পারবেন। পোশাক গুলো দেওয়া হচ্ছে রাফা পাঞ্জাবী’র সহযোগিতায়। উদ্বোধন অনুষ্ঠান সাকিল আহমেদ তিয়াসের মা সুরাইয়া পারভীন বলেন, করোনায় কর্মহীন হয়ে পড়েছে অনেকে। অনেকে দুই বেলা দু’মুঠো ভাত যোগাতে হিমশিম খাচ্ছেন। করোনা অতিমারীর মধ্যে নতুন পোশাক ছাড়া ঈদ জমেনা। এমন ধারণা থেকেই ‘ঈদ আনন্দ, মানুষের প্রতি ভালবাসা’ নামের ভিন্নধর্মী এ দোকান চালু করা।

দোকানে আগতদের বিনয় চিত্রে স্বাগত জানাচ্ছেন কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবী শিার্থী। আগত নিন্ম বিত্তের মানুষ দোকানে থাকা ঈদের পাঞ্জাবী, টি-শার্ট, গেঞ্জি ইত্যাদি ঘুরে ফিরে দেখছেন। পছন্দ হলেই স্বেচ্ছাসেবীরা প্যাকেট করে দিচ্ছেন।

স্বেচ্ছাসেবীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনায় শিা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। তেমন কাজও নেই। তাই মহৎ ও ভাল কাজে স্বেচ্ছাশ্রম দিচ্ছেন।

ব্যতিক্রমী এমন দোকানের উদ্যোক্তা শাকিল আহমেদ তিয়াস জানান, নতুন পোশাক ছাড়াতো ঈদের আনন্দ হয় না। করোনায় কর্মহীন হতদরিদ্র মানুষের পোষাক কেনা অনেকটা কষ্টসাধ্য। এছাড়াও মানুষ তার নিজ পছন্দের পোশাক পড়তে ভালবাসে। তাই সবার সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে তিনি এমন দোকান চালু করেছেন। মানুষ দোকানে আসবে, টাকা ছাড়াই এখান থেকে পছন্দের পোশাক কিনে খুশি মনে বাড়ি ফিরবেন। তিনি আরো বলেন, সমাজের বিত্তবানদের উচিৎ, ছিন্নমূল এসব মানুষের জন্য সাধ্য মত পাশে দাঁড়ানো।