খোকসায় বিএনপির অফিসের আসবাব পত্র ভাঙচুরের অভিযোগ

0
20

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসার সরকারী আবাস প্রকল্পের পুকুর ও বালিমহল দখল পাল্টা দখল কেন্দ্র করে রাতের আঁধারে বিএনপি একটি আঞ্চলিক অফিসের আসবাব পত্র ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রবিবার দিনগত রাত ১১ দিকে খোকসা ইউনিয়নের মোড়াগাছা বাজারে বিএনপির এ আঞ্চলিক অফিসটি ভাঙচুর করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয় এ ঘটনায় থানায় জিডি করা হয়েছে। হামলায় অংশ নেওয়া তিনজনের মুখ কালো কাপরে বাঁধা ছিল। হামলাকারীদের পরণে ছিলো কালো কাপড়ের পোশাক। হামলায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা বাজারের পশ্চিমে গড়াই নদীর দিকে চলে যায়। গত ফেব্রæয়ারী মাসে বিএনপির এ অফিস চালু করা হয়। এ অফিসটি পরিচালনা করতেন প্রবাস ফেরত রুহুল আমিন নামের এক কর্মী। তার সাথে হিজলাবট দ্বিপচরের তিন বিঘা জমির একটি সরকারী পুকুর ও বলিমহলের দখল পাল্টা দখল কেন্দ্র করে পাশের উপজেলা কুমারখালীর কয়েকজনের সাথে বিরোধ হয়।

খোকসা খানা ভাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন অফিস ভাঙচুরের ঘটনায় বিএনপি জিডি করেনি।

সোমবার সকালে মোড়া গাছা বাজারে গিয়ে দেখা যায়, একটি টিন সেড আঁধাপাকা ঘরের দুই সাটারের দোকানে বিএনপির অফিস। ঘরের মধ্যে কয়েক খানা প্লাষ্টিকের ভাঙা চেয়ার, কিছু ব্যানার ফেষ্টুন ও একটি টেলিভিশন পরে আছে। নেতাদের বসার জায়গায় মাথার উপর এখনো জিয়াউর রহমান ও তারেক রহমানের একটি ব্যানার ঝুলছে।

অফিসের কেয়ার টেকার বদিউর হাসান জনান, প্রতিদিনের মত রবিবার সাকাল ৮ টায় অফিসটি খোলা হয়। রাত ১০টায় নিয়ম মাফিক সাটার নামিয়ে চলে যান। আগে থেকেই অফিসটিতে তালা দেওয়া হয় না। রাতে মুঠো ফোনে অফিস ভাংচুরের খবর জানতে পারেন।

মোড়াগাছা হাটের নৈশ প্রহরী মোতাহার (৭৬) জানান, অফিস ভাংচুরের সময় সে সহ ৬ জন ডিউতে ছিলেন। তিনি বাজারের পূর্ব দিক থেকে আসার সময় বিএনপির অফিসের ভিতরে ভাঙচুরের আওয়াজ পেয়ে এগিয়ে যান। এ সময় কালো পোশাক ধারী তিনজন লোক দৌড়ে পালিয়ে যান। এর ঘটনার পর তারা অফিসের কর্মকর্তা রুহুল আমিনকে খবর দেন।

বিএনপি এই অফিস পরিচালনার দায়িত্বে থাকা রুহুল আমিন জানান, আওয়ামী লীগের কিছু লোক প্রায় দেড়যুগ ধরে হিজলাবট দ্বিপচরের আশ্রয়ন প্রকল্পের একটি সরকারী পুকুর দখল করে মাছ চাষ করতো। ৫ আগস্টের পর তাদের থেকে পুকুরটি ছাড়িয়ে নিয়ে ভূমিহীনদের হাতে ছেড়ে দেওয়ায় হয়। এ ছাড়া দ্বিপচর থেকে বালি তোলায় বাধা দেওয়ার হয়েছে। এ সব ঘটনার সূত্র ধরে দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে অফিসে হামলা করতে পারে।

রুহুল আমিন আরও জানান, উপজেলা সম্মেলনের কারণে ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি না থাকায় প্রায় সাতমাস আগে তিনি অফিস চালু করেন। তবে তিনি এখনো বিএনপির কমিটি ভুক্ত সদস্য নয় বলেও স্বীকার করেন।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলাউদ্দিন খান বলেন, তাদের একটি অফিসে রাতের আধারে হামলা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় জিডি করা জন্য বলা হয়েছে। কাউকে হুমকী ধামকি একটি ঘটনা। আর রাতের আঁধারে অফিসে হামলার ঘটনা এক নাও হতে পারে। পুলিশী তদন্তে প্রকৃত ঘটনা ও দোষী চিহ্ণিত করা পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খোকসা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মঈনুল ইসলাম বলেন, রাতেই স্থানীয় গ্রাম পুলিশ ও বাজারের নৈশ প্রহরীর মাধ্যমে ঘটনা জেনেছি। পরে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ নিয়ে আসার কথা ছিলো। কেউ আসেনি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেবেন।