নারী নির্যাতন মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব আটক

0
21
নারী নির্যাতন মামলায় আটক ইউনিয় পরিষদের সচিব জাহিদ হাসান। (ফাইল ছবি)

স্টাফ রিপোর্টার

কুষ্টিয়ার খোকসায় স্ত্রীর দায়ের করা নারী নির্যাতন মামলায় ইউনিয়ন পরিষদের সচিব জাহিদ হাসানকে পুলিশ আটক করেছে।

শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি আমবাড়িয়া গ্রাম থেকে গোপগ্রাম ইউনিয়নর পরিষদের সচিব মোঃ জাহিদকে আটক করা হয়। সে একই গ্রামের আব্দুস সোবাহানের ছেলে। স্ত্রী মোছাঃ ঝুমুর খাতুন তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে খোকসা থানায় একটি মামলা করে। মামলার বাদির দুইটি শিশু কন্যা সন্তান রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খোকসা থানা পুলিশের এস আই নিশ্চিত করেছেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় আটক ইউপি সচিব জাহিদ হাসানকে আদালত জেল হাজতে প্রেরণ করেছে। আটক জাহিদ গোপগ্রাম ইউনিয়নর পরিষদের সচিব পদে কর্মরত আছেন।

বাদির এজাহার ও পরিবার দাবি অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে জাহিদ হাসান তার স্ত্রী ঝুমুর খাতুনের উপর শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) স্বামীর পরকিয়ার বিষয়ে কথা বললে দুই সন্তানের মা ঝুমুরের উপর হামলা করে জাহিদ। এক পর্যাযে ঝুমুর জ্ঞান হারালে সন্তান সহ ঘরে আটকে রেখে চলে যায়। কয়েক ঘন্টা পর জ্ঞান ফিরলে পরিবারের লোকদের ফোনে জানায়। তারা এসে ঝুমুরকে উদ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা করান। এ ঘটনায় ঝুমুর খাতুন বাদি হয়ে খোকসা থানায় মামলা দায়ের করে। (যার নম্বর ৩, তারিখ ১০ অক্টোবর) এ মামলায় জাহিদ হাসনকে আটক করা হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, বাদিনীর ৮ ও ৫ বছর বয়সী দুটি শিশু কন্যা সন্তানের উপর নির্যাতন করেন জাহিদ হাসান। দুই মেয়ে ও তার নিজের নিরাপত্তার অভাবে কথা বলা হয় এজাহারে।

বাদিনীর ভাই আবু তাহের বলেন, দশ বছর আগে পারিবারিক ভাবে জাহিদ হাসানের সাথে তার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তার বোনের উপর জাহিদ হাসান অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। এ নিয়ে একাধিক বার পারিবারিক ভাবে সালিশী বৈঠক হয়েছে। কয়েক দফায় নগদ টাকাসহ টেলিভিশন ফ্রিজ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইউনিয়ন পরিষদের চাকুরির সুবাদে জাহিদ অন্য নারীতে আশক্ত হয়ে পরেছেন। পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে পরার বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তার বোন ঝুমুরের উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে গেছে। তার বোন চরম অসুস্থ থাকায় কারো সাথে কথা বলতে পারছেন না।

নারী ও শিশু নির্যাতন মামলার একমাত্র আসামী জাহিদ পুলিশের হেফাজতে থাকায় তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তার বাবা আব্দুস সোবাহানের সাথে কথা বলার জন্য তার মুঠো ফোনে কলা করা হয় কিন্তু তিনি ফোন ধরেনি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রাজু জানান, মামলার রেকর্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যে একমাত্র আসামীকে আটক করে আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠিয়েছেন।